বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
হাইওয়ে পুলিশ

অভিযোগ ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে মহাসড়কের কোথাও গাড়ি থামানো যাবে না। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে ঈদুল আজহা-২০২৩ উপলক্ষে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, অহেতুক যদি কেউ মহাসড়কে গাড়ি থামায়, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। পশুবাহী গাড়ির গন্তব্য কোথায়, তা প্রতিটি গাড়ির সামনে ব্যানার লাগাতে হবে। কোনো পশুর হাটের ভলান্টিয়ার জোরপূর্বক বা বাধা দিয়ে গাড়ি হাটে ঢোকাতে পারবে না। এ জন্য পশুবাহী প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পেছনে গন্তব্য লিখে রাখতে হবে। তাহলে কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সুযোগ থাকবে না। যারা যাত্রী আছেন, পরিবহন সংশ্লিষ্ট আছেন, চাঁদাবাজি হবে না এটা নিশ্চিত থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে পশুবাহী ট্রাকে মাদক পরিবহন করা হয়- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট নজরদারি থাকবে। মাদক কারবারিরা যাতে কোনো ধরনের সুযোগ না পায়, সেজন্য আমাদের নজরদারি ও তদারকি থাকবে।

এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে বলছি- চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই, থাকবে না। যারা যাত্রী রয়েছেন, মহাসড়ক ব্যবহার করবেন, তারা একটি নিরাপদ পরিবেশ পাবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং আমরা তা বাস্তবায়ন করব। সেই সঙ্গে আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য, হাইওয়ে পুলিশের সদস্য বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে মনে করি- আমরা আমাদের কাজটি তখনই সুন্দরভাবে করতে পারি- আমাদের যারা অংশীজন বা স্টেকহোল্ডার, সহযোগী সংস্থা, জনসাধারণ রয়েছেন, যখন তাদের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় করতে পারি। সমন্বিত আলোচনার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গা ধরে ধরে, খুঁটিনাটি প্রতিটি জায়গা ধরে ধরে, চিহ্নিত করে আলোচনা করছি। সেই সঙ্গে কার কোন দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ, সেগুলো চিহ্নিত করছি এবং সমাধানকল্পে আমাদের কো-অর্ডিনেশন ও দায়িত্বগুলো চিহ্নিত করছি। আমি আশা করি, এই সমন্বয় সভাটি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমনে এবং সুন্দর নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে। হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, কিছু গাড়ি সড়কে চলার সময় বিকল হয়, অল্প মেরামত করে সেগুলো চালু করা যায়। কিন্তু দেখা যায় যানজটের মধ্যে সেখানে দ্রুত পৌঁছানো যায় না। সে কারণে সারা বাংলাদেশে হাইওয়ে সংলগ্ন যত গ্যারেজ আছে, যারা এই সমস্ত যানবাহন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান বা মেরামতকারী আছেন, তাদের একটি তালিকা আমরা তৈরি করেছি। সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করছি, প্রতিটি কন্ট্রোল ও সাব কন্ট্রোলে তা দেওয়া আছে। আমরা চাই না কোনো দুর্ঘটনা হোক। তবুও সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আঘাতপ্রাপ্তদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা যেন করতে পারা যায়, সেজন্য হাইওয়ে সংলগ্ন হাসপাতাল এবং সব চিকিৎসা কেন্দ্রের তালিকা ও নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে, যাতে যে কোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সাপোর্ট দেওয়া যেতে পারে। সব মিলিয়ে মহাসড়কে যানজট নিরসনে সবার সহযোগিতা ও সচেতনতা খুবই প্রয়োজন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি কাওসার আহমেদ পলাশ এবং বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুল কবীরসহ সংশ্লিষ্টরা।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর