মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

লবিস্ট নিয়োগ করে অপপ্রচারে বিএনপি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমেরিকা-ইউরোপে লবিস্ট নিয়োগ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। অপপ্রচারে কাজে লাগাচ্ছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে।

গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কাদের বলেন, পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি বিএনপি আমেরিকা-ইউরোপে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সর্বশেষ যে খবর পয়েছি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অপপ্রচারের সঙ্গে তাদের অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে বহির্বিশ্বে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে দেখা হয়। আমাদের সেনাবাহিনী দেশে দেশে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত। তাদের সেই মিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে কাজে লাগিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বিএনপির হেরে যাওয়ার ভয় আছে। তারা (বিএনপি) শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দেখে বুঝতে পেরেছে এখন নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে না। কাজেই নির্বাচনটা প্রশ্নবিদ্ধ করে বাধাগ্রস্ত করাটাই তাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্যই বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের দেশে মেরুকরণ হচ্ছে। পরস্পরবিরোধী মতের প্রদর্শন হচ্ছে। আমরা আশা করছি, দেশে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন করতে পারব।

নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আসুন। বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে দেখুন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো কীভাবে হয়েছে দেখুন। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো এটা প্রত্যক্ষ করেছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যাতে অতীতের মতো অগ্নিসন্ত্রাসের মতো কর্মকান্ড চালাতে না পারে, সেজন্য শান্তি কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকতে হবে কর্মীদের। আমরা অশান্তির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আসছে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মাসব্যাপী সাদামাটা অনুষ্ঠান হবে। ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।

আগামী ২২ জুন নির্বাহী কমিটির সভা : আগামী ২২ জুন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভা। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। দলীয় সভানেত্রী যেসব নেতাকে বিভাগীয় দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট নেবেন। কোথাও কোনো সংকট থাকলে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত দেবেন। মিটিংয়ে জেলা, উপজেলায় আমাদের দলের কিছু কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। সভানেত্রী কিছু কিছু জেলাকে পর্যায়ক্রমে ঢাকায় আমন্ত্রণ করে তাদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন।

 

 

সর্বশেষ খবর