মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভে বাধা পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে গণতন্ত্র মঞ্চের সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি। এর আগে মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে রোডমার্চের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমাবেশের সভাপতি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। সেখানে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেওয়া হয়। কর্মসূচি ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা জিরো পয়েন্ট থেকে চলে যান। সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ এ কর্মসূচি পালন করে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্টে যান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ। আ স ম আবদুর রব বলেন, এ সরকারের পায়ের তলে মাটি নেই। দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এ মুহূর্তে দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ পাবে না, নিরাপত্তা পাবে না, ভোট দিতে পারবে না। এ সরকারের যাওয়ার সময় হয়েছে। এ সরকার আগে আমাদের ভয় দেখাত। এ জন্যই আমরা বলি, তোমাদের সময় হয়েছে, তোমরা এবার যাও।

মিছিলে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেনশাহ মাহমুদ বলেন, সচিবালয় রাষ্ট্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। চাইলেই কেউ এখানে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যেতে পারেন না। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুরক্ষিত করাই পুলিশের কাজ। এ কাজ করতে গিয়ে তারা সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখিয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর