ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে রাব্বি (১৬) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম ফুলবাড়িয়ার একটি ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রাব্বি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা আরামবাগের মানিক মিয়ার ছেলে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সাগর (১৮) পলাতক রয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাগরের মা লিলি বেগম ও নানিশাশুড়ি রাবেয়াকে আটক করেছে। সাগরের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। সে পরিবারসহ ফুলবাড়িয়ার মুসলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, নিহত রাব্বি ও অভিযুক্ত সাগর বন্ধু। সম্প্রতি মোবাইল ফোন নিয়ে ঝগড়া হয়। এ সময় রাব্বি সাগরকে চড়-থাপ্পড় মারে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় সাগর। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে ফোন করে রাব্বিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পশ্চিম ফুলবাড়িয়ার একটি ঝোপে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে সাগর তার মা লিলি বেগমকে ফোন করে জানায়, সে রাব্বিকে খুন করেছে। রাব্বির লাশ পশ্চিম ফুলবাড়িয়ার ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে। ছেলের ফোন পেয়ে লিলি বেগম বিষয়টি রাব্বির মাকে জানায়। পরে রাব্বির মা বিষয়টি পুলিশকে জানালে বিকালে তারা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাগরের মা লিলি বেগম ও নানিশাশুড়ি রাবেয়া বেগমকে আটক করে।
ওসি এমরানুল ইসলাম আরও বলেন, রাব্বিকে শনিবার রাতেই সম্ভবত শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে পচন ধরেছে। সাগরকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
