রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছাড় দিতে রাজি নয় কেউ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

ছাড় দিতে রাজি নয় কেউ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বগুড়া-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন। তারা এলাকায় শুভেচ্ছা বিনিময়সহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করছেন। তাদের হাট-বাজারে আর চায়ের টেবিলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের কথাই আলোচনায় উঠে আসছে। এবার ভোটাররা বলছেন, যিনি এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন, তাকেই তারা ভোট দেবেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হিসেবে বগুড়ায় বিএনপির ভোটারই বেশি ছিল।

কিন্তু এখন আর বিএনপির সেই সময় নেই। দলটির ভোটার কমে যাচ্ছে। হাওয়া লেগেছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) পালে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে ৪টি আসন পায় জাপা। অপর তিনটির মধ্যে দুটি আওয়ামী লীগ ও একটি জাসদ প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই বগুড়ায় জাপা কিছুটা দল গোছাতে থাকে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দুটি, বিএনপি দুটি, জাতীয় পার্টি দুটি ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করে। পরে বিএনপির সংসদ সদস্যরা দুুটি আসন থেকে পদত্যাগ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একটি ও জাসদ অপরটিতে জয়ী হয়।

বগুড়া-২ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। তিনি এ আসনে আবারও দলের প্রার্থী হবেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হলেও তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। এলাকার উন্নয়নে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না এ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপি থেকে তিনি এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এখানে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, ব্যবসায়ী আকরাম হেসেন, শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম মাস্টার।

ডা. রেজাউল আলম জুয়েল ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ করতেন। চিকিৎসক হয়েও এলাকার মানুষের জন্যও কাজ করছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বগুড়া জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি। এ ছাড়া বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান মতি এ আসনের প্রার্থী হতে পারেন। আবার একক প্রার্থী হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান মাঠে রয়েছেন। সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ জানান, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তাই আগামীতে এই আসনের ভোটাররা তাকেই আবার এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইবেন।

আওয়ামী লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক জানান, গত তিনটি নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীক ছিল না। তবে বর্তমানে দল আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। দলীয়ভাবে এখানে একক প্রার্থী দিলে নৌকার বিজয় হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর