রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
কোরবানির পশুর হাট

বিক্রি জমেনি এখনো

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিক্রি জমেনি এখনো

২৯ জুন ঈদুল আজহা। সে হিসেবে বাকি আর মাত্র তিন দিন। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য পশু এনেছেন ব্যাপারীরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে এখনো ট্রাকভর্তি করে পশু আনা হচ্ছে। তবে বেচাকেনা   শুরু হয়নি। পশু এনে বাজারের সুবিধাজনক স্থানে রাখছেন ব্যাপারীরা। ক্রেতা এলেই দাম হাঁকছেন। যদিও বেশির ভাগ ক্রেতা বাজারে এসে দরদাম করে চলে যাচ্ছেন।
রাজধানীর হাটগুলো ঘুরে জানা গেছে, কুষ্টিয়া, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে ট্রাকে রাজধানীর পশুর হাটে আসছে গরু। তবে এখনো তেমন একটা বেচাকেনা শুরু হয়নি। হাটগুলো অনেকটাই ক্রেতাশূন্য। তবে ব্যাপারীদের আশা, আগামী দুই-এক দিন পরই বেচাকেনা পুরো জমে উঠবে। হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা যেমন বেশি, দামও তেমন বেশি। বড় আকারের গরুর বিভিন্ন নাম রেখে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছেন ব্যাপারীরা। বিক্রেতারা বলছেন, পশুখাদ্যের দামসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম অন্য বছরের তুলনায় বেশি।
মেরাদিয়া হাট ঘুরে দেখা গেছে, পশুতে পরিপূর্ণ হাট। বনশ্রী এইচ ব্লকের সব কটি সড়কের দুই পাশে বাঁশের খুঁটিতে গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে এখনো বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু আসছে। বনশ্রী ৩ নম্বর সড়কে কথা হয় ঝিনাইদহ থেকে আসা ব্যাপারী ইসমাইল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে ১৪টি গরু নিয়ে এসেছি। এখনো একটিও বিক্রি করতে পারিনি। কয়েকজন দরদাম করেছেন। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম না হওয়ায় বিক্রি করিনি। তবে বিক্রি শুরু হতে আরও দুই দিন লাগতে পারে।
সাঈদনগর পশুর হাটে দেখা গেছে, ভাটারা সাঈদনগর সংলগ্ন ১০০ ফুট সড়কের উভয় পাশের খালি জায়গায় পশু উঠেছে। হাটটির অধিকাংশ স্থানে গরুতে ভরে গেছে। তবে এখনো ট্রাকভর্তি করে আসছে গরু। হাটটিতে এখনো তেমন বিক্রি শুরু হয়নি।
কথা হয় নাটোর থেকে গরু নিসে আসা মোসলেহ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার গ্রাম থেকে তিন ট্রাক গরু এসেছে। আমি ছাড়া আরও তিনজনের গরু রয়েছে এখানে। আমাদের নিয়ে আসা গরুর মধ্যে সাতটি গরু বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আমার পাঁচটি গরুর দারদাম করেছে। পাঁচটি গরুর দাম করেছে ১২ লাখ টাকা। আশানুরূপ দাম না হওয়ায় ছাড়িনি। ১৪-১৫ লাখ হলে ছেড়ে দেব।
কমলাপুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো বেচাকেনা শুরু হয়নি। কমলাপুর টিটিপাড়া, মুগদা স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা, গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ, দেওয়ানবাগ দরবার শরিফ সামনের রাস্তাসহ আশপাশের ফাঁকা সড়কে সারি সারি বাঁশ গেড়ে-বেঁধে প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে গরু-ছাগল আসছে। গরুগুলো নামিয়ে তা বেঁধে রাখছেন ব্যাপারীরা, করছেন পরিচর্যা। হাসিল কাটার কাউন্টারগুলো থাকলেও সেখানে এখনো পর্যন্ত কাউকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
কুষ্টিয়া থেকে সোহাগ মিয়া ৪০টি গরু এনেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবারই আমি এ হাটে গরু এনে বিক্রি করি। অনেকে এসে গরু দেখে যাচ্ছেন, দামাদামও করছেন। তবে ঈদের দুই-তিন দিন আগে গরু বিক্রি শুরু হবে।
হাটের ইজারাদার জাকির হোসেন বলেন, সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে এখানে হাট বসিয়েছি। হাটে যেন কোনো ধরনের দুর্বৃত্ত অঘটন ঘটাতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে হাটের লোকজন কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে হাট শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। কোনো পশু যদি অসুস্থ হয় সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসকের ব্যবস্থাও আমরা রেখেছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর