টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ আবারও উৎপাদনে আসছে পায়রা কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গতকাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দায়িত্বশীল সূত্র জানান, আজ বিকালের মধ্যেই এটি পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। এ ছাড়াও কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শিগগিরই আরও কয়েকটি কয়লাবাহী জাহাজ দেশে এসে পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এ এম খুরশেদুল আলম জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে কয়লা সরবরাহ শুরু হয়েছে। রবিবার (আজ) বিকাল থেকে এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। প্রথমে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু করা হবে। যদি চাহিদা থাকে তখন দ্বিতীয় ইউনিটটিও চালু করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটি দুই-একদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। তখন সিস্টেমে লোড অনেক কমে যাবে। কারণ অফিস-আদালত ও কারখানা বন্ধ থাকবে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও কম থাকবে। আগামী ৩০ জুন একটি এবং ৪ জুলাই দুটি কয়লাবাহী জাহাজ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি জাহাজ কয়লা নিয়ে আসবে। অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে কয়লাবাহী জাহাজ আসতেই থাকবে। ফলে কয়লা সংকটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
২২ জুন ইন্দোনেশিয়ার বালিকপাপন কোল টার্মিনাল থেকে ‘এমভি অ্যাথেনা’ নামের একটি জাহাজ ৪১ হাজার ২০৭ টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে নোঙর করে।প্রসঙ্গত, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট পুরোপুরি চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন। এর আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট গত ৫ জুন কয়লা সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। তার আগে কয়লার অভাবে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত ২৫ মে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।