মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

জুনে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছিল, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। তবে জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদে এ তথ্য জানা যায়।

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল, এপ্রিল মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ফলে এপ্রিল থেকে বেড়ে মে মাসে খাদ্যপণ্য মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।

এ ছাড়া বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে। মে মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, জুন মাসে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে।

যদিও ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তখন সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। সর্বশেষ বাড়তে বাড়তে ক্রেতার নাগালের বাইরে গেছে সব নিত্যপণ্য।

সর্বশেষ খবর