শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন

প্রতীক পেয়ে ব্যস্ততা শুরু প্রার্থীদের

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে চার প্রার্থী দলীয় প্রতীক পেয়েছেন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘রকেট’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান। প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। ফলে এ আসনের ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম ‘লাঙ্গল’, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত ‘সোনালি আঁশ’ বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশিদ মিয়া ‘ছড়ি’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ‘রকেট’ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এদের মধ্যে মনজুরুল ছাড়া বাকিরা দলীয় প্রতীক পেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাকিরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এসব প্রার্থী নির্বাচনের এক দিন আগে পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৭ দিন সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে প্রচারণা চালাতে গিয়ে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই প্রার্থীরা এত দিন নানাভাবে কৌশলী প্রচার ও ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ রেখেছিলেন। প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে গতকাল দুপুরের পর বাদুড়তলা এলাকার জঙ্গি শাহর মাজার জিয়ারত ও মোনাজাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। এরপর বিকালে শুল্কবহর, মীর্জার পুল, মুরাদপুর, নাছিরাবাদসহ কিছু এলাকায় ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে যান। এরই মধ্যে জিইসি মোড়ে নিজের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে মহিউদ্দিন বাচ্চু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভোটারদের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নগুলো তুলে ধরছি। সরকারের বিপুল উন্নয়নের কারণে মানুষ এখন অনেক আশাবাদী। তারা নানা দাবির কথা বলছেন। আমি নির্বাচিত হলে এসব কাজ শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ জাতীয় পার্টির প্রার্থী সামসুল আলম প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে গতকাল বিকাল থেকে প্রচার শুরু করেছেন। তিনি গতকাল আগ্রাবাদের মুহুরিপাড়ায় প্রচারণা চালান। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। এটা গণমানুষের দল। ভোটাররা দারুণ সাড়া দিচ্ছেন। এ আসনের নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম জানান, নগরীর হালিশহর, মনছুরাবাদ এলাকায় তার নিজস্ব ভোটব্যাংক আছে। জন্মলগ্ন থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তিনি ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন তিনি। গতকাল তিনি আগ্রাবাদে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট চেয়েছেন। তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী দীপক কুমার পালিত এবং মুক্তিজোট প্রার্থী রশিদ মিয়া গতকাল সাধারণ ভোটারদের কাছে যাননি। তারা দুজনই দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পোস্টার ও নির্বাচনী প্রচারণার পরিকল্পনা তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন। আজ সকালে কাট্টলী এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে যাবেন দীপক। রশিদ মিয়া সকালে হালিশহর থেকে ভোটের প্রচার শুরু করবেন।

 উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন গঠিত। ২ জুন এ আসনটি এমপি ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুর পর শূন্য হয়। এ আসনে ৩০ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি বসিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর