সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাফনের কাপড় পরে রেললাইন অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাফনের কাপড় পরে রেললাইন অবরোধ

কাফনের কাপড় পরে গতকাল রেললাইন অবরোধ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চাকরি স্থায়ীকরণ এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে রাজধানীর মগবাজার ও কারওয়ানবাজার এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেছিলেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। গতকাল বেলা পৌনে ১১টা থেকে ঢাকার কারওয়ানবাজারে এফডিসি সংলগ্ন রেলগেটে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকবৃন্দ’র ব্যানারে এ অবস্থান করলে নারায়ণগঞ্জ বাদে সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেলা পৌনে ৩টার দিকে  রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বস্ত করলে তারা রেলপথ  ছেড়ে রেল ভবনে চলে যান। চার ঘণ্টা পর পুনরায় স্বাভাবিক হয় রেল চলাচল। বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে একতা এক্সপ্রেস কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন। অবরোধ চলাকালে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, মগবাজারে রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মচারীরা অবস্থান নিয়েছে। তাদের কিছু বেতন বাকি আছে। এ ছাড়া চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি আছে। এ কারণে তারা রেললাইনের ওপর বসে পড়েছে। ঢাকা থেকে ট্রেন যেতে পারছে না, আসতেও পারছে না। জানা গেছে, অবরোধের কারণে অন্তত ১৫টি ট্রেন ঢাকার আশপাশে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। আন্দোলনকারীদের অনেকেই কাফনের কাপড় পরে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। অনেকেই আমরণ অনশনে থাকবেন বলে জানান গণমাধ্যমকর্মীদের। পরে বেলা পৌনে ৩টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জি এম জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন তাদের দাবি মানা হবে। তখন আন্দোলনকারীরা রেললাইন ছেড়ে রেল ভবনের দিকে চলে যায়। গত রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রেল ভবনে মহাপরিচালকের সঙ্গে তাদের বৈঠক চলছিল। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী রেল শ্রমিক সাহাবুদ্দিন মুন্না বলেন, আমাদের চাকরির বয়স ছয় বছর। এখনো স্থায়ী করা হয়নি। অথচ অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে নতুন করে কর্মচারী নিয়োগের ঘোষণায় আমরা এই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সাহেদ আলী নামে আরেক শ্রমিক বলেন, আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। জানা গেছে, অবরোধের কারণে একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী কমিউটার, চট্টলা এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে আটকা পড়ে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অবরোধ কখন উঠবে সেই নিশ্চয়তা না পাওয়ায় অনেকে যাত্রা বাতিল করে টিকিট ফেরত দেন স্টেশনে। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য এসেছিলেন রুহুল আমিন। তিনি বলেন, বেলা সোয়া ১১টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। কিন্তু বেলা দেড়টা পর্যন্ত ট্রেন না ছাড়ায় তিনি টিকিট ফেরত দিয়ে বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সর্বশেষ খবর