) ড. এ আতিক রহমান
বিশিষ্ট পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. এ আতিক রহমান বলেছেন, প্লাস্টিকের অতিমাত্রায় ব্যবহার পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্লাস্টিকের বোতলে রাখা পানিতেও প্লাস্টিকজনিত ক্ষতিকর উপাদান মিশে যাচ্ছে, যা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হুমকি। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পলিথিন উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ হলেও প্লাস্টিকজাত পণ্যের ব্যবহার হ্রাস করার ক্ষেত্রে কোনো আইনি কাঠামো নেই। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক পণ্যের ওয়ান টাইম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা জরুরি। বিশেষত সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি নিষিদ্ধ করা হলে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য সেক্টরে নিষেধ করা সহজতর হবে। আর এ জন্য দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মেনিফেস্টোতে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সামাজিক ন্যায়বোধ, জীবন পদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং শিক্ষা কারিকুলামে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তকরণ জরুরি। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্ভব হবে। বোতলজাত ও কোমল পানীয় উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশের অংশ বিশেষ জনস্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। গত শুক্রবার ঢাকার এফডিসিতে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে ড. আতিক রহমান এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।