কেরানীগঞ্জে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পুলিশের এক সোর্সকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সাইফুল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বাসিতপুর গ্রামের আবদুল খালেক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় আওলাদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় খেজুরবাগ স্কুল রোডের মা-বাবার দোয়া ফেব্রিক্স হাউসের সামনে পাঁচ-ছয় যুবক সাইফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও হাতে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে গুরুতর অবস্থায় ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সাইফুলকে চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মেজো বোন তানিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ভাই পুলিশের সোর্সের কাজ করত। এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কারণে তারাই ভাইকে হত্যা করেছে। রাতে দুর্বৃতরা আমার ভাইকে হত্যা শেষে আমাদের ঘরের দরজায় লাথি মেরে বলেছে তোর ভাইকে মেরে ফেলে রেখে এসেছি, যা গিয়ে লাশ নিয়ে আয়। আমি ভয়ে তখন দরজা খুলিনি। পরে তারা চলে গেলে দৌড়ে গিয়ে দেখি রক্ত পড়ে আছে। আমার ভাইকে আশপাশের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এরপর হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি ভাই মারা গেছে।’ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
