শিরোনাম
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

টাকা ছিনিয়ে নিতেই সখীপুরে জোড়া খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাঙ্গাইলের সখীপুরে জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। ওই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মোস্তফাসহ দুজন গ্রেফতার হয়েছেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, গ্রেফতাররা টাকা ছিনিয়ে নিতেই জোড়া খুন করেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান তিনি। খন্দকার আল মঈন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৪ এর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের সখীপুরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মোস্তফা মিয়া এবং তার সহযোগী আলামিনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় নিহত শাহজালালের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন। শাহজালাল সখীপুরের হামিদপুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মনোহারি ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতেন। শাহজালালের চাচা মজনু মিয়া কৃষিকাজ করতেন। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি মাঝে মাঝে শাহজালালকে ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করতেন। শাহজালাল মাঝে মাঝে দোকানে ঘুমাতেন। শাহজালাল যেদিন বাড়িতে রাতযাপন করতেন, সেদিন দোকান ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা (দেড় থেকে ২ লাখ) বাড়িতেই রাখতেন। গত ১৯ জুলাই শাহজালাল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার সময় চাচা মজনু মিয়াকে দেখতে পেয়ে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পথে হত্যাকান্ডের শিকার হন শাহজালাল ও মজনু। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোস্তফার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এ হত্যাকা হয়। মোস্তফা এবং আলামিন স্থানীয় একটি সমিতির সদস্য ছিলেন। মোস্তফা সমিতি থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নেন। সেই ঋণের টাকা পরিশোধ ও পরিবারের খরচ বহনের জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন ছিল তার। শাহজালাল যে রাতে বাড়িতে ঘুমাতেন, সে রাতে টাকা বাড়িতে রাখেন। বিষয়টি মোস্তফা ও আলামিন জানতেন। রাতে বাড়ি ফেরার পথে শাহজালালের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল মোস্তফার। বিষয়টি আলামিনকে জানান মোস্তফা। আলামিন তাতে সম্মতি দেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ জুলাই রাতে মোস্তফা ও আলামিন সখীপুরের বাঘের বাড়ি এলাকায় নির্জন জঙ্গলে ওঁৎপেতে থাকেন। শাহজালাল মোটরসাইকেলে তার চাচা মজনু মিয়াকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোস্তফা শাহজালালের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। শাহজালাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মোস্তফা শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। মজনু মিয়া চিৎকার করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আলামিন লোহার রড দিয়ে মজনু মিয়ার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করেন। পরে মোস্তফা ও আলামিন মাটিতে লুটিয়ে থাকা শাহজালাল ও মজনু মিয়াকে লোহার রড দিয়ে পুনরায় আঘাত করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

সর্বশেষ খবর