শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিজের রাইফেলের গুলিতে আত্মহত্যা কনস্টেবলের

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

দায়িত্ব পালন অবস্থায় নিজের কাছে থাকা রাইফেলের গুলিতে এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ (২৭) আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ ও চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। লাশ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে পঞ্চগড় শহরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার দেড়-দুই ঘণ্টা আগে তার স্ত্রী উপমা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

কনস্টেবল ফিরোজের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ পলি মির্জাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ছুটে যায়। এ সময় স্ত্রী উপমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ সুপার। পুলিশ জানায়, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকে গার্ড হিসেবে যোগদান করেছিলেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজের হাতে থাকা রাইফেল দিয়ে হঠাৎ নিজ গলায় গুলি করেন। এ সময় অন্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর কনস্টেবল ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার সময় তার সহকর্মীরা তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার ওপরে একটি ক্ষতচিহ্ন ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু। হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার স্ত্রী উপমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ গলায় গুলি চালান। এর আগে রাত ১টার দিকে ফিরোজের স্ত্রী উপমা শ্বাসকষ্ট নিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবদুল লতিফ মিয়া জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে আত্মহত্যার আগে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়েছে। বর্তমানে তার স্ত্রী উপমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ খবর