শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৃষ্টির অপেক্ষায় বরেন্দ্রর কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চলছে বর্ষাকাল। শ্রাবণের ২০ দিন পেরিয়েছে তবুও বৃষ্টির দেখা নেই বরেন্দ্র অঞ্চলে। শ্রাবণের দিন যতই যাচ্ছে ততই যেন বাড়ছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদফতরও বৃষ্টি নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না। বৃষ্টির অভাবে এবারে বরেন্দ্রে হাজার হাজার বিঘা জমি এখনো পতিত পড়ে আছে। অন্যদিকে আমনের বীজতলার দুই মাস পেরিয়ে যাচ্ছে। যারা আগের বৃষ্টিতে আমন রোপণ করেছিলেন সে আমন খেতগুলো বাঁচানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে কৃষকের। বৃষ্টির অভাবে ফসলের মাঠ পুরোই ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রকৃতির কাছে যেন অসহায় পয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে, রাজশাহীর মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় বৃষ্টির জন্য তিন দিনব্যাপী ইসতিসকার নামাজ আদায় শুরু করেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা। রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৩৫ হেক্টর। এর জন্য জেলায় এবার বীজতলা রয়েছে ৩ হাজার ৬৬৭ হেক্টর। এ ছাড়া রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হবে আরও ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের ওপরে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চান্দলা গ্রামের কৃষক তসিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। আষাঢ় মাসে আমন রোপণ করলেও বরেন্দ্রের উঁচু জমিতে বৃষ্টির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ধান বাঁচানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। তিনি আরও জানান, আমন চাষে সেচ খরচ লাগে না। সার খরচও কম। বর্ষার পানির ওপর নির্ভর করে উঁচু-নিচু সব জমিতে আমন চাষাবাদ করা হয়।

তানোর উপজেলার পাঁচন্দর গ্রামের কৃষক আমজাদ জানান, চলতি বছর ২২ বিঘা জমিতে আমন চাষ করবেন। এখন পর্যন্ত ১৫ বিঘা জমিতে কোনোরকমে আমন রোপণ করলেও বাকি জমি পতিত পড়ে আছে। আর কয়দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে বীজে গিট হয়ে যাবে। সে বীজ খেতে রোপণ করলে ধানের ফলন একেবারে হবে না। রাজশাহীর তানোর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা, সে পরিমাণ বৃষ্টি এ বছর হয়নি। তাই বরেন্দ্রের অনেক মাঠে কৃষক আমন রোপণ করতে পারেননি।

সর্বশেষ খবর