রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে দলাদলি সক্রিয় বিএনপি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগে দলাদলি সক্রিয় বিএনপি

দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনে বেশির ভাগ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এখানে ব্যাপক দলাদলি চলছে। আর একে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীকে পাশে চায় দলটি।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তৃণমূল নেতাদের সমর্থন পেতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর বিএনপির প্রচারণা চলছে ঘরোয়াভাবে। জামায়াতে ইসলামীও নীরবে মাঠে প্রচারণায় রয়েছে। এখানে মনোনয়ন চাইতে পারেন জামায়াতের রংপুর অঞ্চল টিম সদস্য ও সাবেক চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আফতাবউদ্দীন মোল্লা। এই এলাকায় জামায়াতের একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ আখতারুজ্জামান মিয়া। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। এ সরকারের পতনের পর সুষ্ঠু নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। তখন দল বিবেচনা করলে প্রার্থী হবো।

এ ছাড়াও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. হাফিজুর রহমান সরকার, চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আবদুল হালিম রয়েছেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি আওয়ামী লীগের একজন সম্ভাবনাময় প্রার্থী। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সরব রয়েছেন তিনি। এখানে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আরও রয়েছেন, ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিফ কনসালট্যান্ট যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন। তিনি এলাকায় যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন। এ ছাড়া সাবেক এমপি ও হুইপ মিজানুর রহমান মানু এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আরও রয়েছেন, চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারিক, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চিরিরবন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়।

অপরদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন- খানসামা উপজেলা আহ্বায়ক মোনাজাত উদ্দিন, খানসামা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হালিম হাওলাদার। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ এবং ১৯৭৯ সালে দিনাজপুর-৪ আসনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত অ্যাডভোকেট শাহ মাহতাব আহমেদ। ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে জয়ী হন আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান মানু। ১৯৮৮ সালে জয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা সাখাওয়াত হোসেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের তিনবারের এমপি মিজানুর রহমান মানুকে হারিয়ে বিজয়ী হন বিএনপির আকতারুজ্জামান মিয়া। আবার ২০০৮ সালে আকতারুজ্জামান মিয়াকে হারিয়ে বিজয়ী হন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও এমপি হন এ এইচ মাহমুদ আলী।

সর্বশেষ খবর