সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

শরীয়তপুরের বিচারককে হাই কোর্টে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ আদালতে জামিনে থাকার পরও কোন এখতিয়ার বলে আসামিদের পুলিশ কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে শরীয়তপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল ইমরানকে তলব করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ২০ আগস্ট তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

গতকাল আদালতে হাজির হয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির নিঃশর্ত ক্ষমা চান। এ সময় আদালত বলেন, ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পাবেন না।’ আদালত আরও বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানকে (হাই কোর্ট) থাকতে দিন। আমি-আপনি থাকব না, প্রতিষ্ঠান থাকবে। দেশ বাঁচলে আইন বাঁচবে। আদালতের মর্যাদা রক্ষা করুন।’ আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মজিবুর রহমান। আর পুলিশের পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক। মজিবুর রহমান বলেন, ছিনতাই মামলায় সাত আসামিকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন করানো হয়। ওই জামিনপ্রাপ্তির পরও সাতজনের মধ্যে দুজনকে পুলিশ আটক করে। থানায় নিয়ে নির্যাতন করে টাকা আদায় করে। পরে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত জামিনের তথ্য যাচাই-বাছাই না করে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় পত্রিকায় প্রতিবেদন হয়। এরপর বিষয়টি আবার আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত শুনানি নিয়ে প্রথমে বিচারকসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেন। এরপর তারা হাজির হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ৬ আগস্ট পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন। তিনি আরও বলেন, আজ (গতকাল) আদালত শরীয়তপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করেছেন। ২০ আগস্ট তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওই দিন পুলিশের দুই কর্মকর্তাকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর