সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্ষায়ও দূষিত ঢাকার বাতাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ষা আসায় ঢাকার বাতাসে দূষণ কিছুটা কমলেও এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ী বিশুদ্ধ নয় জনবহুল এই নগরীর বাতাস। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায়ও ঢাকা ছিল বিশ্বের চতুর্থ দূষিত নগরী। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ক্ষতিকর অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা (পিএম ২.৫) ছিল ৩৮.৯ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া বার্ষিক গড় মানের চেয়ে ৭.৮ গুণ বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা আইকিউ এয়ারের           প্রতিবেদনে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।

আইকিউ এয়ারের বায়ুমান সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ১০৯, যা সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। তথ্যানুযায়ী, ঢাকার বাতাস সবচেয়ে কম দূষিত থাকে বর্ষাকালে। শীত আসতেই দূষণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। সেই বর্ষাকালেই বিশুদ্ধ বাতাস পাচ্ছে না ঢাকাবাসী। আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সব সময়ই ঢাকার বাতাস ছিল সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর। সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল দুপুর ১২টার দিকে। তবে সকাল ৮টার আগের ছয় ঘণ্টা দূষণ ছিল সহনশীল মাত্রায়।

বর্ষাকালেও রাজধানীর বাতাস বিশুদ্ধ নয় কেন এমন প্রশ্নে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্ষাকালে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের দূষিত পদার্থ মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টিপাত কম হলে ভবনের দেয়ালে লেগে থাকা ধুলা সব পরিষ্কার হয় না। তাপমাত্রা বাড়লে এগুলো বাতাসে ওড়ে। এ ছাড়া এখানকার জ্বালানি তেলের মান ভালো নয়। খারাপ তেল ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে দূষণ থেকেই যাচ্ছে। সড়কে বড় সংখ্যক বাস-ট্রাক থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। সরকারি বাসগুলোর অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। তারপরও বছরের অন্য সময়ে চেয়ে বাতাস এখন ভালো আছে।

সর্বশেষ খবর