বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অতিরিক্ত শুল্কের পিঁয়াজ আসার আগেই বেশি দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত পিঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে শনিবার। এ খবরের পরপরই অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পিঁয়াজবাজার। তিন দিনের ব্যবধানে ভারতীয় পিঁয়াজের দাম বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। গতকাল বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। এখন প্রতি কেজি আমদানি করা পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, যা শনিবার ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। দাম বেড়ে সোমবার ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গতকাল রায়েরবাগ, রামপুরা ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের দেশি পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগেও ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি পিঁয়াজের দাম না বাড়লেও আমদানি করা পিঁয়াজের দাম গত দুই দিনে ২০ টাকা বেড়েছে। শুধু খুচরায় নয়, রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারেও পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। শনিবার ওই বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা পিঁয়াজের দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, যা এখন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দেশি পিঁয়াজ পাইকারিতে কেজি ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজ আমদানিকারক রহমান হোসেন বলেন, ভারতে প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা। এর সঙ্গে ৪০ শতাংশ শুল্ক ১২-১৪ টাকা যোগ করলে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় দাঁড়ায়। ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে দেশের বন্দর পর্যন্ত আনতে খরচ হচ্ছে প্রতি কেজি ৮ টাকা। দেশের অভ্যন্তরের খরচ ও ঘাটতি হিসাবে নিলে পিঁয়াজের দাম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ৬০-৬২ টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৩৫ লাখ টন পিঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এর আগের বছর হয়েছে ৩৪ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছর উৎপাদন হয়েছিল ২৬ লাখ টন। অর্থাৎ গত তিন অর্থবছর ধারাবাহিকভাবে দেশে পিঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। কৃষি খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক বছরে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানিতে মাঝেমধ্যেই অনিশ্চয়তায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তাই দেশে পিঁয়াজ চাষে আরও বেশি জোর দেওয়া হয়। কয়েক বছর ধরেই পিঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় দেশের কৃষক চাষে ঝুঁকছে। তাতে উৎপাদন বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি কমতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসায়ীদের মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি। পর্যাপ্ত পিঁয়াজ থাকার পরও শুল্কায়নের খবরে দাম বাড়াচ্ছেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর