রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর এলাকায় স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করেছেন এক ব্যক্তি। তার নাম অলিউল (৪৮)। নিহতরা হলেন নিপা খাতুন (২৮) ও নূর (৮)। ঘটনা বুঝতে পেরে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে অলিউলকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানায়, ১০ বছর আগে অলিউল ও নিপার বিয়ে হয়। দেড় বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়েছিল। দেড় মাস আগে তাদের আবারও বিয়ে হয়। নিপা খাতুন পাঁচন্দর গ্রামের আবদুর রহিমের কন্যা। তালাকের পর তিনি ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। নিহত নিপার বড়ভাই ভুলু জানান, দেড় বছর আগে তার বোনকে হাসুয়া দিয়ে কোমরে কোপ দিয়েছিলেন অলিউল। তখন অলিউলের নামে তারা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন অলিউল। পরে আপোসের মাধ্যমে অলিউলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেন নিপা। নিপাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় অলিউলের কাছ থেকে। সাত-আট মাস আগে কারাগার থেকে মুক্ত হন অলিউল। দেড় মাস আগে আবারও নিপা-অলিউলের বিয়ে হয়। শুক্রবার শিশু নূরের সুন্নতে খাৎনা করা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান,    গতকাল বিকালে অলিউল নেশাগ্রস্ত হয়ে ওই বাড়িতে আসেন। এ সময় স্ত্রী নিপার সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে অলিউল এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন স্ত্রীকে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে শিশু সন্তান নূর। তাকেও ছুরিকাঘাত করেন অলিউল। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা জানান, ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেন অলিউল। পরে জনতার সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা গণধোলাই দেওয়ায় পুলিশ হেফাজতে তানোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অলিউলের চিকিৎসা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।