রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওসির বিরুদ্ধে বাদীকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় বাদী ও তার বোনকে থানাহাজতে আটকে রেখে হত্যা মামলার এজাহার থেকে পাঁচ আসামির নাম বাদ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। পরে এসপির কাছে অভিযোগ করায় তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশ।

গতকাল বিকালে সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) আমান উল্যাহ বলেন, এ ঘটনায় বাদীসহ সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে। পরে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শককেও ডাকা হবে। জানা গেছে, হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের হর কুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে গত ৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মিজানুর রহমানকে (৩৩) হত্যা করে। তিনি ওই ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমান চৌকিদারের ছেলে। পরে ৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই মাফুজুর রহমান (৪০) বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করতে যান। এ সময় তিনি ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন ও পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চনকান্তি দাস তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং আসামির তালিকা থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিতে বলেন। বাদী মাফুজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের কথামতো পাঁচ আসামিকে বাদ দিতে রাজি না হওয়ায় কাঞ্চনকান্তি দাস আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা বোন মিনারা বেগমকে থানাহাজতে আটকে রাখেন। এক ঘণ্টা পর আমার বোনকে ছেড়ে দিলেও আমাকে পরের দিন ৮ আগস্ট রাত পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘণ্টা হাজতে রাখা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সময়ের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) আমাকে আসামির নাম বাদ দিতে নানাভাবে চাপ দেন এবং ভয়ভীতি দেখান। অন্যথায় ভাই হত্যা মামলায় আসামি করে অথবা ৫০০ ইয়াবা দিয়ে আদালতে পাঠানোর হুমকিও দেন। এভাবে তিনি মামলার এজাহার থেকে আসামি আজাদ (৩৭), আবু তাহের (৫০), আজমির হোসেন (৩৫), জাকের হোসেন (৪৫) ও মোশারেফ হোসেনের (৩৫) নাম বাদ দিয়ে নতুন এজাহারে সই করতে বাধ্য করেন। পরে বিষয়টি আমি নোয়াখালী পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি।’ সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) আমান উল্যাহ বলেন, পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া বাদীর অভিযোগ পেয়েছি। আমি বাদীর বক্তব্য নিচ্ছি, তদন্ত চলছে। ওই তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক কাঞ্চনকান্তি দাস ২-৩ দিন আগে বদলি হয়ে চলে গেছেন।

সর্বশেষ খবর