সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাখিদের বাড়ি

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

পাখিদের বাড়ি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যানবাড়ীসহ আশপাশের যে কোনো গাছের দিকেই তাকানো যাক না কেন সেখানেই পাখি উড়ছে, শব্দ করে ডাকছে। সবুজ পাতার ফাঁকে, মগডালে দিনরাত সব সময়ই কিচিরমিচির শব্দে নিজেদের জানান দেয় এরা। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে এলাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক যুগ ধরে সাদা বক, পানকৌড়ি, ঘুঘু, সারস, ডাহুক আর রাতচোরা পাখির নিরাপদ আবাসস্থল কুমুরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যানবাড়ীসহ কয়েক পাড়া। এ ছাড়াও কাঠবিড়াল, বেজি, বিভিন্ন জাতের গুইসাপও রয়েছে। কাঁঠাল, আম, জাম, নিম, ফলদ গাছ, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছের ডালে বাসা বেঁধেছে শত শত রাতচোরা, সাদা বক, পানকৌড়ি। এসব মিলেই চেয়ারম্যানবাড়ীসহ এলাকার চারপাশের গাছ ও বাঁশঝাড় পাখিদের অভয়ারণ্য।

স্থানীয়রা জানান, সকালে আর বিকালে পাখির আনাগোনায় মন জুড়িয়ে যায়। সকাল হলেই মা পাখিরা খাবারের সন্ধানে উড়ে যায়, আবার সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসে। সন্ধ্যার দিকে গাছগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় শাখা-প্রশাখাজুড়ে সাদা-কালো ফুল। ওদের নড়াচড়া আর ডাকাডাকিতে বোঝা যায়- ফুল নয়, সাদা-কালো বক আর পানকৌড়ি, নইলে রাতচোরা। কেউ বিরক্ত করে না- এমন জায়গায় এরা নিরাপদ আশ্রয় গড়েছে। এখানেই বাসা বেঁধে এরা ডিম দেয় এবং তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়। মা পাখিরা খাবার সংগ্রহ করে এনে মুখে তুলে দেয় বাচ্চাদের। এলাকার পুকুরগুলোতেও  দেখা যায় পাখির মাছ শিকার। সবমিলে পাখির ওড়াউড়ি, মা পাখির বাচ্চাকে খাওয়ানো আর বাবা পাখির পাহারা দেওয়ার দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে।

টানা তিনবারের খানসামা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম সুজাউদ্দিন শাহ (লুহিন শাহ) বলেন, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষের আমল থেকেই এই এলাকা পাখির অভয়ারণ্য। বছরের সব সময় এখানে পাখিসহ বন্য প্রাণী দেখা যায়। এদের কেউ বিরক্ত করে না, মারে না। তাই এরা এখানে সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে করে। তাদের থাকার সুবিধার্থে বাঁশঝাড়ের বাঁশগুলোকে ভালোভাবে গুছিয়ে রাখা হয়। বাঁশঝাড়সহ কোনো গাছও কাটা হয় না।

 

সর্বশেষ খবর