শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
উচ্ছ্বসিত পর্যটক

যৌবন ফিরেছে পাহাড়ি ঝরনায়

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

যৌবন ফিরেছে পাহাড়ি ঝরনায়

যৌবন ফিরেছে পাহাড়ি ঝরনায়। টানা খরার পর ঝরনার নতুন এই রূপ দেখেননি কেউ আগে। বর্ষা এই ভিন্ন রূপ এনে দিয়েছে। এমন রূপ দেখে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলায় অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়ি ঝরনা থাকলেও নয়নাভিরাম ও বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য শুধু রাঙামাটির বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়ন ও ঘাগড়া ইউনিয়নে দৃশ্যমান। রাঙামাটি শহর থেকে ৩০-৩৫কিলোমিটার দূরে বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়ন। ইঞ্জিনচালিত বোট বা স্পিট বোটে যেতে সময় লাগে এক থেকে দুই ঘণ্টা। ওই এলাকায় দু’পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এসেছে ছোট-বড় অন্তত ৮টি ঝরনা। এর মধ্যে মূল অর্থাৎ গিরিনির্ঝর ঝরনাটি বেশি আকর্ষণীয়। কারও কারও ভাষ্য, প্রায় ৩০০ফুট উঁচু থেকে বর্ষায় জলধারার অবিরাম পতনে সৃষ্ট নিক্কন ধ্বনিসমেত অপরূপ দৃশ্য চোখে না দেখলে কল্পনায়ও সে ছবি আঁকা অসম্ভব। বৃষ্টির প্রবল বর্ষণে গিরিনির্ঝর ঝরনা ফিরে পেয়েছে তার আদিরূপ।

একই দৃশ্য রাঙামাটির ঘাগড়া কলাবান ঝরনায়। এটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন অবস্থিত। এ ইউনিয়নের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়ি ছড়া। এ ছড়ার একমাত্র উৎপত্তিস্থল ঘাগড়া ঝরনা, যা সবার কাছে ‘কলাবাগান’ ঝরনা নামে পরিচিত। এখানে শুধু দেশি-বিদেশি পর্যটকই নয়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ আশপাশের জেলার মানুষের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। ফলে কলাবাগান ঝরনা স্থল এখন আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা। ঝরনা ঘুরে এসে স্থানীয় পর্যটক সুবর্ণা ও জসিম জানান, জনপ্রিয়তা থাকলেও এ পাহাড়ি ঝরনাকে ঘিরে এখনো গড়ে উঠেনি কোনো পর্যটন কেন্দ্র। ঝরনা রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে এটিকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে রাঙামাটির জন্য বিরাট সম্ভাবনার ক্ষেত্র।

সর্বশেষ খবর