শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ২১৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শিশুদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। এ অবস্থায় শিশুদের ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচাতে ও মশা নিধনে জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১০৯ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। গতকাল বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে ২০ কোটি ডলার  অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগ ও সাধারণ মানুষের অসুস্থতার চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে সিটি করপোরেশন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সাভার ও তারাবো পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম শক্তিশালী করা হবে। এর আওতায় আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় শহর এলাকায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন শিশুর স্বাস্থ্যসেবাও মিলবে। বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। কিন্তু শহরাঞ্চলে সীমিত জনস্বাস্থ্য পরিষেবা রয়েছে। তাই দরিদ্র মানুষ এবং বস্তিবাসী প্রায়ই আরও ব্যয়বহুল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হয়। অধিকন্তু উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত নগরায়ণের ফলে ডেঙ্গু, সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধিসহ নতুন স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ উদ্ভূত হচ্ছে। এসব রোগ মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি ডলার অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পটি নারীদের জন্য প্রসবপূর্ব পরিষেবাগুলোকে উন্নত করবে। এর আওতায় আড়াই লাখের বেশি নারী গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে চারটি চেকআপ গ্রহণ করবেন। এটি হাইপারটেনশন স্ক্রিনিং এবং প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কের ফলোআপকেও সমর্থন করবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবায় পকেটের বাইরের ব্যয় কমাতে, প্রকল্পটি সরকারি চিকিৎসা এবং পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকসহ নির্বাচিত বিদ্যমান জনস্বাস্থ্য সুবিধাগুলোকে সংস্কার করবে। এ ছাড়া এ প্রকল্প পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং প্রতিরোধমূলক পরিষেবাগুলোর ওপরও ফোকাস করবে। যেমন- মশা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অসুস্থতা প্রতিরোধ, মানব স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন এবং বায়ুদূষণের প্রভাব প্রশমিতকরণ। এটি শহর এবং পৌরসভাগুলোতে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা কৌশলের উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রকল্পটি একটি জলবায়ুভিত্তিক ডেঙ্গু প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং প্রাদুর্ভাবের প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা চালু করবে। সেই সঙ্গে মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ খবর