মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে দলাদলি মাঠে নেই বিএনপি

আবদুল বারী, নীলফামারী

আওয়ামী লীগে দলাদলি মাঠে নেই বিএনপি

জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে নীলফামারী-৩ সংসদীয় আসন। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে এমপির দায়িত্ব পালন করছেন জলঢাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক রানা মোহাম্মদ সোহেল। আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবার এ আসনে দলীয় প্রার্থী চায়। তবে এখানে আওয়ামী লীগ বহু গ্রুপে বিভক্ত। গত ১৫ আগস্ট জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি শোক মিছিল হয়। অপরদিকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে আরেকটি শোক মিছিল বের করা হয়। এ আসনে বিএনপির কেউ প্রকাশ্য না হলেও বসে নেই জামায়াতে ইসলামী। ভিতরে ভিতরে শক্তি সঞ্চয় করছে দলটি। নীরব প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এ আসনে বিগত সময়ের বেশির ভাগ এমপি ছিলেন জামায়াত ও মুসলিম লীগের প্রার্থী। গত ১৫ বছরে বদলে গেছে মাঠ। সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হলে আওয়ামী লীগের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তা না হলে আসনটি জামায়াতে ইসলামীর দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। নীলফামারী-৩ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হলেও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হয়। ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আগামী নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন রুবেল, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল। বর্তমান সংসদ সদস্য জলঢাকা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক রানা মোহাম্মদ সোহেল এবারও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সহসভাপতি সৈয়দ আলী, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট। জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর সেক্রেটারি ওবাইদুল্লাহ সালাফী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। জানতে চাইলে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সহসভাপতি সৈয়দ আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি এখন আন্দোলনমুখী। তাই নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তাই নেই আমাদের। তবে দল যদি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমরা প্রস্তুত। আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান জাতীয় পার্টির এমপি এলাকায় থাকেন না। তিনি এলাকার কোনো উন্নয়ন করেননি। সবসময় ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি।

গোলাম মোস্তফা বলেন, আগামী নির্বাচনে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি রয়েছে।

মনোনয়নপ্রত্যাশী জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন রুবেল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। চারবার মনোনয়ন চেয়েছি। এবারও মনোনয়নপ্রত্যাশী। বর্তমানে জলঢাকা উপজেলায় আওয়ামী লীগের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা বির্তকিত। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে জামায়াত, বিএনপির সমর্থকদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। আমি ২৭ বছর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু আমাকেও এ কমিটিতে সদস্য রাখা হয়নি। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ আসনে ভোট দেবেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৭ আর নারী ভোটার ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৮৫ জন।

সর্বশেষ খবর