মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সব তহবিলে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক

৩০ নভেম্বরের মধ্যে না দিলে জরিমানা

শাহেদ আলী ইরশাদ

চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যান্য তহবিলের ২০২২-২৩ অর্থবছরের আয়ের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ রিটার্ন জমা দিতে হবে। নতুন আয়কর আইনে স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিল, অনুমোদিক গ্রাচ্যুয়েটি তহবিল, অবসর তহবিলসহ বেসরকারি সংস্থার কর্মচারী তহবিলের জন্য কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের জন্য সরকার অনুমোদিত তহবিলের ট্যাক্স রিটার্ন জমা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সিকিউরিটিজ থেকে আয়ের ওপর প্রদত্ত ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর তহবিলের ওপর প্রদত্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক বা স্থানীয় সরকারসহ সরকারি কর্মচারীদের তহবিলের কর দিতে হয় না। কর কর্মকর্তারা বলেছেন, তহবিলের রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা চলতি বছরের ৩০ নভেস্বর। কারণ নতুন কর আইনে এসব তহবিলকে স্বতন্ত্র করদাতা হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া করপোরেট করদাতাদের হিসাবে তহবিলের জন্য করের হার নির্ধারণ হয়েছে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ। আয়কর আইনে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হলে বা সময়সীমার মধ্যে না দিলে তহবিলগুলোকে প্রদত্ত করের ওপর প্রতি মাসে ৪ শতাংশ হারে জরিমানা গুনতে হবে। কর আইন অনুসারে তহবিলগুলোকে সরকারি সঞ্চয়পত্র থেকে আয়ের ওপর কর দিতে হবে। উৎসে কর্তন করা কর সমন্বয় করার পর সঞ্চয়পত্র থেকে আয় প্রকৃত করযোগ্য আয়ে যোগ হবে। এ বিষয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশিষ বড়ুয়া বলেন, ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে তহবিলকে অবশ্যই কর রিটার্নসহ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সত্যায়িত আর্থিক বিবরণী দাখিল করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তহবিলের আয়ের বছর হবে অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন। কিছু ক্ষেত্রে, তহবিলগুলো তাদের কোম্পানির আয় বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর আয়ের বছর অনুসরণ করে। বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যাংক, বিমা, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জুলাই থেকে জুন আয়ের বছর অনুসরণ করতে পারে। স্নেহাশিষ বড়ুয়া বলেন, অনেক তহবিল এ বছর কর রিটার্ন দাখিল করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। কারণ তারা প্রথমবার জমা দিচ্ছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সময়ের জন্য আর্থিক হিসাব করেছে। এক্ষেত্রে তহবিল পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর জন্য তিনি দুটি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, হয় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত একটি আর্থিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করুন। অথবা ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন সময়ের জন্য একটি আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করুন। তাদের আয় যদি ৬ লাখ টাকার বেশি হয় তাহলে ডিসেম্বর-মার্চ মাসের আয়কর দিতে হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তবে, সম্পূর্ণ আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের বিবরণী জমা দিতে হবে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।

সর্বশেষ খবর