মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিলজুড়ে পদ্ম ফুলের সমাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বিলজুড়ে পদ্ম ফুলের সমাহার

নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। এর মাঝে বিলজুড়ে যত দূর চোখ যায় শুধু পদ্ম ফুলের হাসি। প্রকৃতির এ এক অপরূপ সাজ। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন কেউ পদ্ম ফুলের বিছানা পেতে প্রকৃতি প্রেমিককে কাছে ডাকছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম ঘাগুটিয়া। গ্রামের ১২০ একর এলাকাজুড়ে রয়েছে এই বিল। বিলের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মাধবপুর গ্রাম। স্থানীয় ও প্রকৃতির সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে বিলটি পদ্মবিল নামেই বেশি পরিচিত। বিলজুড়ে যখন পদ্ম ফুটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে প্রকৃতিপ্রেমীরা। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত এ বিলে পদ্ম ফুল ফোটে। বিল থেকে পানি নেমে গেলে ফুলও উধাও হয়ে যায়। বাকি সময় স্থানীয় কৃষকরা বিলে ধান চাষ করে। উত্তর ধর্মনগর গ্রামের সোহাগ সরকার জানান, বিশাল বিলজুড়ে যখন পদ্ম ফুল ফোটে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা এখানে ছুটে আসে। কেউ ছবি তুলে, কেউ আবার ডিঙি নৌকা ভাড়া নিয়ে বিলে ঘুরে বেড়ায়। ফেরার সময় তুলে আনে পদ্ম। জেলা শহরের পাইকপাড়ার শীলা দাস জানান, পদ্মবিল দেখব বলে মায়ের সঙ্গে এখানে ঘুরতে এসেছি। নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে খুব ভালো লাগছে। ঘুরতে আসা বেশির ভাগ মানুষই ফেরার সময় বিল থেকে ফুল তুলে নিয়ে যায়। যার ফলে বিলে এবার পদ্ম ফুল কম। প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা না নিলে এক সময় এ বিলে আর পদ্ম ফুল থাকবে না। মনিয়ন্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর ভূইয়া জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজায় লাগে এ পদ্ম ফুল। পূজার সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ বিল থেকে ফুল সংগ্রহ করে। এমন কি আগরতলা বটতলীবাজারে এ ফুল বিক্রিও করা হয়। প্রকৃতিপ্রেমীদের আগমনে বিল এলাকা যেমন মুখরিত হয়ে ওঠে, তেমনি তাদের অবাধ পদচারণায় বিলের সৌন্দর্য কিছুটা নষ্ট হচ্ছে। আমার মতে সরকারিভাবে পদ্মবিলটি সংরক্ষণ করা দরকার। মনিয়ন্ধ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম চৌধুরী দীপক বলেন, বিল ও বিলে ফোটা পদ্ম ফুল সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে মানুষ বেড়াতে আসে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেড়াতে এসে যেন কেউ বিলের ক্ষতি না করে।

সর্বশেষ খবর