শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছুটি না নিয়েই প্রমোদ ভ্রমণে সাত চিকিৎসক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা না দিয়ে এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরনের ছুটি বা অনুমোদন না নিয়েই প্রমোদ ভ্রমণে বান্দরবান গেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকসহ সরকারি সাত চিকিৎসক। এদিকে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা এ কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, ছুটিতে থাকা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার অন্যতম প্রধান সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি জেলাবাসীর উন্নত চিকিৎসাসেবা নেওয়ার একমাত্র ভরসাস্থল। হাসপাতালটিতে জরুরি বিভাগসহ অন্তত ১৪টি বিভাগ রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে ৩ হাজার রোগী হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গতকাল সপ্তাহের শেষ দিন হাসপাতালটিতে তীব্র রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসকসহ সাতজন চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। অনুপস্থিত থাকা চিকিৎসকরা হলেন- হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফায়েজুর রহমান, গাইনি চিকিৎসক ডা. শরিফ মাসুমা ইসমত, ডা. মারিয়া পারভীন, ডা. আইরিন হক, ডা. কামরুন নাহার বেগম, ডা. ফাহমিদা ও ডা. খোকন । শহরের মৌড়াইল এলাকা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুস সাত্তার নামে এক রোগী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা কোনো ধরনের ছুটি না নিয়েই ভ্রমণে যাবেন- এটা ঠিক নয়। কারণ এখানে অনেক রোগী এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও চিকিৎসা নিতে পারছেন না। দীপক নামের আরেক রোগী বলেন, এই হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকলেও ডাক্তাররা এমনিতেই রোগী কম দেখেন। তার ওপর এখন বেশ কয়েকজন ডাক্তার ছুটি না নিয়ে ঘুরতে চলে গেছেন। এদিকে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রানা নূরুস শামস বলেন, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ডেঙ্গু মৌসুমে কেউ ছুটি কাটাতে পারবেন না। তবে তারা বান্দরবানে ছুটিতে গেলে নিজ দায়িত্বে গেছেন। তাদের কেউ ছুটি নিয়ে যাননি।’ তত্ত্বাবধায়ক আসার পর তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান এই চিকিৎসক কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর