শিরোনাম
রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন আসন্ন, বন্ধ হতে পারে ৪০ লাখ কর্মীর বেতন

প্রতিদিন ডেস্ক

সরকার চালানো নিয়ে ভয়াবহ বিপদে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের কট্টরপন্থি রিপাবলিকানরা (হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস) শুক্রবার সরকারকে অস্থায়ীভাবে অর্থায়নের প্রস্তাবিত একটি বিল প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে রবিবার থেকে ফেডারেল সংস্থাগুলো আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে, অচল হয়ে পড়বে বাইডেন সরকার। এ অবস্থায় বন্ধ     হয়ে যেতে পারে ৪০ লাখ কর্মীর বেতনও। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি খবরে বলা হয়, সরকারকে তহবিল দেওয়ার জন্য গত শনিবারের সময়সীমার ঠিক এক দিন আগে বিলটি হাউসে পাস হতে ব্যর্থ হলো। এমন অবস্থায় সরকারের শাটডাউন ঠেকাতে সামান্য কিছু বিকল্প থাকছে। ফেডারেল কর্মীদের ছুটি দীর্ঘ করা হতে পারে। সামরিক বাহিনীকে কাজ করতে হতে পারে বেতন ছাড়াই। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এটি হতে যাচ্ছে চতুর্থ শাটডাউন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম যাতে বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারকে তহবিল জোগানোর মেয়াদ ৩০ দিন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়েছিল হাউসে। কিন্তু সেই বিল ২৩২-১৯৮ ভোটে পরাজিত হয়েছে। বিলে রিপাবলিকানদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি অভিবাসন সীমিত করার প্রস্তাব ছিল। সে কারণে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত সিনেটে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল খুবই কম। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু সেখানে এই বিল পাস না হওয়ার কারণে এখন শাটডাউন এড়ানোর পথ নেই বলেই মনে হচ্ছে। এতে জাতীয় পার্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ৪০ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর্থিক খাতের নজরদারি থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার তহবিল। ভোটাভুটির পর হাউসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি বলেন, যেসব রক্ষণশীল নীতির কারণে ডেমোক্র্যাটরা বিচ্ছিন্ন বোধ করছেন, সেগুলো ছাড়া এই তহবিলের মেয়াদ সম্প্রসারণের বিল এখনো পাস হতে পারে। কিন্তু এরপর কী হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। সেখানে আরও ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। হাউস স্পিকার ম্যাককার্থি বলেন, হাল ছেড়ে দেওয়াই কেবল ব্যর্থতা। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন বলেছেন, সরকারি দফতরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও শিশুদের জন্য পরিচালিত কর্মসূচির গতি কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে থমকে যেতে পারে বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পের গতিও।

উল্লেখ্য, এবারও শাটডাউন হলে তা হবে এক দশকের মধ্যে চতুর্থ শাটডাউন। মাত্র চার মাস আগে জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যেভাবে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিল, তখনো এই শাটডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন তা এড়ানো গেলেও এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমানে প্রভাব পড়েছে, ক্ষুণ্ন হয়েছে দেশটির ভাবমূর্তি।

সর্বশেষ খবর