বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ধর্ষণের পর শরীরে আগুন

মারা গেল বগুড়ার সেই মাদরাসা শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ধর্ষণ করে শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পর টানা ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সেই মাদরাসাশিক্ষার্থী (১৭)। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।

মাদরাসাশিক্ষার্থীর চাচা কামরুজ্জামান জানান, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় নান্দুরা ফাজিল মাদরাসার আলিম শ্রেণির  শিক্ষার্থী ছিল সে। ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিন যুবক ওই মাদরাসাশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। ধর্ষিতার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেলেন তিনি। এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মাদরাসাশিক্ষার্থীর বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল আসামি সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করে। মামলার বাকি দুই আসামি রঞ্জু (৪০) ও নাঈম (২৩) পলাতক রয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ জানান, রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা গেছেন। মৃতদেহ বগুড়ায় নেওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর