আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এদেশে হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আর তার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আগুনসন্ত্রাসের সূত্রপাত করেছেন। জিয়ার উত্তরসূরিরা আজকে বাংলার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চান। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিএনপির ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি স্থগিতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন কোথায়? লাফালাফি কই গেল? বাড়াবাড়ি কই গেল? আজ আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, ৭ নভেম্বর কার দিন? বিএনপির... কী দিবস? জাতীয় দিবস? জাতীয় দিবসের কর্মসূচিও স্থগিত করে দেয় এ দল। তাদের মতো ভীরু-কাপুরুষ..., তাদের তো রাজনীতি করা শোভা পায় না। তিনি বলেন, আমি কি মিথ্যা বলেছি? তাদের দিন, তাদের জাতীয় দিবস, তাদের বিপ্লব ও সংহতি দিবস। তারা তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতেও সাহস পান না। এ কাপুরুষদের রাজনীতি কি মানায়? তাদের আন্দোলন করার সাহস তো এখানেই বোঝা গেল। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশে পর্দার অন্তরালে যে সব ঘটনা ঘটেছে সে সব ঘটনা আমাদের ইতিহাসকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করেছে। ৩ নভেম্বর হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। এই জিয়া সেই জিয়া যাকে সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানের পরিচয়ে কর্নেল তাহের প্রাণে বাঁচিয়েছিল। সে (জিয়া) ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল। কর্নেল তাহের তাকে উদ্ধার করেছিল। পরিণামে জিয়াউর রহমান সেই কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে।

কোন ইউনিয়ন, কোন দেশ বিবৃতি দিল তাতে কিছু আসে যায় না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার দেশের আইনে, আমার দেশের অপরাধীকে আমি বিচার করতে পারব না, এটা কোন গণতন্ত্র? কোথা থেকে এলো এ আদেশ? আমার দেশের অপরাধী, আমার দেশের খুনি অথচ বিচার করতে পারব না, তাকে জেলে পাঠাতে পারব না...। আদালত আছে, সে নিরপরাধ হলে আদালত থেকে মুক্তি নেবে। আমাদের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।