বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েলে ড্রোন হামলা হুথিদের

প্রতিদিন ডেস্ক

গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের সঙ্গে যোগ হয়েছে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সঙ্গে গোলাগুলি। এর মধ্যেই ইসরায়েলিদের জন্য নতুন আতঙ্ক- ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ইসরায়েলে নতুন করে ড্রোন হামলা করেছে হুথি গোষ্ঠী। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি ইহুদিবাদী দেশটি। তবে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা জোর গলায় বলছে যে, তাদের চালানো সর্বশেষ এই হামলায় ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানবন্দরগুলোর কার্যকলাপ সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্স-হ্যান্ডেলে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী, দখল করা অঞ্চলে ইসরায়েলি শত্রুদের বিভিন্ন কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে গত কয়েক ঘণ্টায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তাদের এই হামলার ফলস্বরূপ ইসরায়েলি ঘাঁটি ও বিমানবন্দরের কার্যকলাপ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।’

যুদ্ধ শেষে গাজার নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নেবে ইসরায়েল-নেতানিয়াহু :

গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই উপত্যকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে ইসরায়েল, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। সোমবার মার্কিন টেলিভিশন এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন। যুদ্ধ শেষে গাজা কে শাসন করবেন এমন প্রশ্নে নেতানিয়াহু বলেন, তাঁর ধারণা, যুদ্ধ শেষ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে ইসরায়েল।

নেতানিয়াহু দাবি করেন, ‘ইসরায়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। (গাজার) নিরাপত্তার দায়িত্বে না থাকলে কী হয়, সেটা আমরা দেখলাম।’

ইসরায়েল নির্বিচারে গাজায় হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করলেও নেতানিয়াহু হামাসকে বলছেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম যে হামাস এত ব্যাপক পরিসরে এক সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা চালাল, যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। কৌশলগত দিক বিবেচনায় সাময়িক সময়, যেমন এখানে এক ঘণ্টা, ওখানে এক ঘণ্টার জন্য যুদ্ধে বিরতি দেওয়া যেতে পারে। আগেও আমরা এ           রকম (যুদ্ধবিরতি) করেছি। এ সময়ের মধ্যে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে পারবে। গাজা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন আটক ব্যক্তিরা।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এক মাসে গাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ। ইসরায়েলের হামলা থেকে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির কিছুই বাদ যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর