বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলু চাষে জনপ্রিয় হচ্ছে কলাগাছের রোলার ব্যবহার

নীলফামারী প্রতিনিধি

আলু চাষে জনপ্রিয় হচ্ছে কলাগাছের রোলার ব্যবহার

সনাতনী কৃষিব্যবস্থা টপকে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার কৃষি। প্রযুক্তির পাশাপাশি সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের মাধ্যমে কৃষিকে আরও গতিশীল করে তুলতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষক  লোকায়েত জ্ঞানে উদ্ভাবন করেছেন কলাগাছের রোলার।

যা রোপা আলুর টপসয়েল (কান্দি) মজুতিকরণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষকের এমন চমকপ্রদ উদ্ভাবন দেখতে প্রতিনিয়ত উৎসুক পথচারী ও স্থানীয়রা খেতের পাশে ভিড় জমাচ্ছেন। বিগত বছরগুলোতে কৃষক রোপণ করা আলুর টপসয়েলে জমে থাকা গুঁড়ি গুঁড়ি মাটির ইটা, দলা ভাঙ্গানোর (মজুতিকরণ) কাজে কাঠের পাতলা হাতল বিশিষ্ট ফাউরি ব্যবহার করত। এতে ১ বিঘা জমিতে তিনজন শ্রমিকের মজুরি বাবদ ১ হাজার ২০০ টাকা ব্যয় হতো। এখন রোলার বিশিষ্ট এ যন্ত্র ব্যবহার করে প্রতি বিঘায় সময় ব্যয় হচ্ছে ৩০মিনিট। ওই পরিমাণ শ্রমিক দিয়ে ৪৮ বিঘা জমি মজুতিকরণ সম্ভব হচ্ছে। এতে সিংহভাগ সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় কৃষক এ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এ পদ্ধতি সাধারণত ৪ হাতবিশিষ্ট কলাগাছের কান্ডের অগ্রভাগের দুই পাশে বাঁশের মোটা কঞ্চি সংযুক্ত করা হয়। হাত দিয়ে টানার জন্য পরিমাণ মতো রশি কঞ্চির সঙ্গে রাউন্ড কওে বেঁধে রোলার তৈরি করা হয়। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, কৃষকরা যেন স্থানীয় জ্ঞান লোকায়েত চর্যায় পিছিয়ে নেই। প্রযুক্তির পাশাপাশি নিজস্ব উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিকে আরও সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে তাদেও লোকায়েত জ্ঞানের এ উদ্ভাবন সিংহভাগ সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী হওয়ায় কৃষির জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।

সর্বশেষ খবর