সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে প্রার্থী এক ডজন, বিভক্ত বিএনপি

পাবনা প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগে প্রার্থী এক ডজন, বিভক্ত বিএনপি

পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসনে চলছে জোর নির্বাচনি প্রচারণা। প্রতিদিন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জনসমর্থন প্রদর্শন করছেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এক ডজনের মতো। আর বিএনপি এখানে স্পষ্টত বিভক্ত। উভয় দলেরই একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তারা নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। সারা দেশের মতো পাবনা-৪ আসনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা  তৎপর হয়েছেন। আগ্রহী প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানান দিচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তিনি নিয়মিত এলাকায় কর্মিসভা, পথসভা ও গণসংযোগ করছেন। এ ছাড়া পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, রবিউল আলম বুদু, মুসলিমা জাহান ময়না, মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ, ডা. শাহেদ ইমরান, ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরো, সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর তিন সন্তান-গালিবুর রহমান শরীফ, সাকিবুর রহমান শরীফ কনক ও মাহজেবিন শিরিন পিয়া এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তবে বর্তমান সরকারের অধীনে ভোট করতে চায় না মাঠের বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত। তারা তাকিয়ে আছে তত্ত্বাবধায়কের দিকে। জানা যায়, এ আসনে বিএনপির তীব্র দলীয় কোন্দল রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পেছনে বিএনপির দ্বিধা-বিভক্তি সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বিএনপিতে যোগ দিলে এখানে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। হাবিব এবং সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে দল দুই ভাগ হয়ে যায়। ২০০১ সালে বিএনপি থেকে সিরাজুল ইসলাম সরদার মনোনয়ন পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হন হাবিবুর রহমান হাবিব। সেবার হাবিব-সিরাজের দ্বন্দ্বে জয় পান আওয়ামী লীগের শরীফ ডিলু। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী মাঠে বেশ তৎপর রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার। অনুরূপভাবে মাঠ গরম করছেন পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা নাসির উদ্দিন। পরে ২০০১ ও ২০০৮ সালে জোটকে ছাড় দিয়ে এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। জামায়াতের দাবি, জয়ী হওয়ার মতো ভোট ব্যাংক থাকলেও জোটের স্বার্থে দুবার আসনটি ছেড়ে দেয় তারা। কিন্তু বিএনপির ঘরোয়া দ্বন্দ্বে মাশুল গুনতে হয়েছে জামায়াত ও জোটকে। টানা পাঁচবার বিএনপি-জামায়াত জোট হারলেও এবার আসন পুনরুদ্ধার করতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত। এখানে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল প্রার্থী হতে চাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হায়দার আলী এই আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।

সর্বশেষ খবর