বাংলাদেশে ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালানো হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মীদের আন্দোলনেও দমনপীড়ন চলছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)। মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপদ, উন্মুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে। গতকাল ইউএনএইচআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালানো হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মীদের আন্দোলনেও চলছে দমনপীড়ন। এ ছাড়া সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিকসমাজের নেতাদের বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনকারী আইন সংস্কারে ব্যর্থতা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক সহিংসতা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতারের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া বিক্ষোভ-আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্তিপ্রয়োগ, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের হয়রানি, ভয় দেখানো এবং বেআইনিভাবে আটক রাখার অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব নিয়ে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা, নজরদারি, ভয় দেখানো এবং বিচারিক হয়রানির কারণে এ মাধ্যমে ব্যাপক স্ব-সেন্সরশিপ ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিকসমাজের নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করায় উদ্বেগ জানিয়েছে এইচআরসি। সংস্থাটির মতে, এমন ঘটনা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করে। সেই সঙ্গে মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুন্ন করে। মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতিসংক্রান্ত এসব উদ্বেগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।