দীর্ঘ ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান তিনি। কর্মসূচি অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার) সানফ্রান্সিসকোয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে শি সেখানেই এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।

শি ও বাইডেনের মধ্যকার বৈঠকে কী কী বিষয় আলোচিত হতে পারে, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেনি দেশ দুটি। তবে উভয় দেশের সংবাদমাধ্যমই বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শি ও বাইডেন দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বন্ধ থাকা সরাসরি যোগাযোগ আবারও চালুর বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে পারেন। কারণ গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল বন্ধ করে দেয় চীন। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে চান তিনি। খবরে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বিরোধ কমানোর সুযোগ হিসেবে এই বৈঠককে দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। বাইডেনের শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, বৈঠকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিংয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হবে। এর আগে চীনা প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সানফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উড়োজাহাজ থেকে বেরিয়ে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান শি জিন পিং। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এবং চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসসহ মার্কিন কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান।