ভোটের মাঠে গত কিছুদিন ধরে নানা কারণে আলোচিত কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সরকার পতনের আন্দোলন থেকে ইউটার্ন নিয়ে নতুন জোট করে সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়ে সমালোচিত হন এই রাজনীতিক। চট্টগ্রাম-৫ ও কক্সবাজার-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি কোন আসনে নির্বাচন করেন সে রহস্য এখনো কাটছে না। জানতে চাইলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। চার তারিখের পরে বলব। তবে হাটহাজারী আমার জন্মস্থান হিসেবে এখানকার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। কী হয় দেখা যাক। সময় হলে সবাই জানতে পারবেন।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়েছিলেন ইবরাহিম। ওই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে তিনি পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছিলেন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা ইবরাহিম ও তাঁর দল গত কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে অদৃশ্য নাটকীয়তায় হঠাৎ তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা উল্টোদিকে মোড় নেয়। যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তাঁর এই নতুন সিদ্ধান্তের কারণ জানা না গেলেও রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। তিনি বর্তমান সরকারের প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করছেন বিএনপি নেতারা। কেউ কেউ তাঁকে মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা করতেও ছাড়েননি। ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’ স্লোগান নিয়ে এক-এগারোর সময় ইবরাহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির যাত্রা শুরু হয়।