সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভূমিকম্পের উৎসগুলো চিহ্নিত করতে হবে

ড. মো. জিল্লুর রহমান

ভূমিকম্পের উৎসগুলো চিহ্নিত করতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের প্রথমে ভূমিকম্পের উৎসগুলো চিহ্নিত করতে হবে। গত শনিবার সকালে যে ভূমিকম্পটি হয়েছিল সেটি ক্রাস্টাল ফল্ট ভূ-ত্বক বিচ্যুতি থেকে হয়েছে। এর আগেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। 

এ অধ্যাপক বলেন, শনিবারের ভূমিকম্পে যতটা না ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আহত হয়েছেন। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অনেকেরই বিপত্তি ঘটে। ঢাকা একটি জনাকীর্ণ শহর। এখানে ভূমিকম্পের সময় বাসা থেকে তাড়াহুড়া করে বের হওয়ার দরকার নেই। কারণ একটি ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব থাকে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড। শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে বাসা থেকে বের হওয়ার দুই-তিন সেকেন্ডের মধ্যেও বিল্ডিংয়ের নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর বিল্ডিংয়ের নিচে না নেমে বাড়ির বিম বা কাঠের টেবিলের নিচে থাকা ভালো। এতে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। জনাকীর্ণ এই শহরে যেহেতু পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নেই। ফলে বিল্ডিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকলে মাথার ওপর বিল্ডিং হেলে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। জিল্লুর রহমান বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি রোধে আমাদের বিল্ডিং কোড মেনে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- আমাদের অবকাঠামোগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে তৈরি করা হচ্ছে না। এতে ভূমিকম্পে হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তিনি বলেন, প্রকৌশলী ও রাজমিস্ত্রিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। জনসাধারণের মধ্যেও ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজে জড়িত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর