মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যে তোলপাড়

ভুল বলিনি সঠিকই বলেছি : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুল বলিনি সঠিকই বলেছি : কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপিকে নিয়ে যা বলেছি ভুল বলিনি এবং সঠিকই বলেছি। আমার বক্তব্য একদম ঠিক আছে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। নিজের এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, অনেকের কথার মধ্যে বিষয়টি উঠে এসেছে। এটা অবশ্যই দলের বক্তব্য নয়, এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছি। আমি মনে করি আমার দল চায় সবাই অংশগ্রহণ (নির্বাচনে) করুক।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের আমরা নির্বাচনে আনতে চাই। কিন্তু সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই আমাদের। আমার বক্তব্যের মূলকথা ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় চেয়েছেন এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক। সেটা বলতে গিয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের কথা বলেছি। আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ চেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ কথাটি বলতে গিয়ে আমি সেদিন কিছু কথাবার্তা বলেছি। আমি সেদিন এটিও বলেছি, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারেক রহমানের নামে মামলা রয়েছে, তার সাজা হয়েছে। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তার মা অসুস্থ, তারও সাজা হয়েছে। কাজেই আমার ধারণা, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো, সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামের ব্যবস্থা নেই। কাজেই আওয়ামী লীগের সামনে কোনো বিকল্প নেই। এ কথাটিই বলেছি। এ পদ্ধতির মধ্যে থেকে বিএনপি বলতে পারত, নির্বাচনটাকে কীভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করা যায়।

সেক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন নিতে পারতাম। বিদেশ থেকে আরও বেশি পর্যবেক্ষক আসতেন। ওসিদের বদলি করা হচ্ছে। এভাবে এসপিদের বদলি করা যেত, ডিসিদের বদলি করা যেত। অর্থাৎ সংবিধান অনুসারে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে, এ সরকারকে রেখে নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করা দরকার, আওয়ামী লীগ সেটি করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি সেটি বিশ্বাস না করে আন্দোলনে গেছে। বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। ট্রেনলাইন কেটে নাশকতা করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা যদি নির্বাচনে আসত তাহলে স্বীকার করে নিত যে, তারা আর সন্ত্রাস করবে না। তার মানে শান্তি আসত। নির্বাচন কমিশনারই বারবার বলেছেন, প্রয়োজনে নির্বাচন পিছিয়ে দেবেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বড় বড় নেতাদের কারাগারে রেখে কি নির্বাচন হবে? সেটি একটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জামিন দিয়ে আইনের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হতো। নির্বাচন কমিশনই এমনটা ভেবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল।

তিনি বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো বিএনপি যদি রাজি হয়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে পরিবেশ সৃষ্টি করা। সেই কথাটাই আমি বলেছি, এটা আবারও বলছি। এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিএনপিকে ভোটে আনতে সব চেষ্টাই করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে আনার জন্য একরাতে সব নেতাকে মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি বিএনপি। নির্বাচনে এলে ছাড় পেত বিএনপি। ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার না করলে বাংলাদেশে আজকে হরতালের দিন গাড়ি চলত না। গ্রেফতার ছাড়া আমাদের অন্য কোনো গত্যন্তর ছিল না। বিকল্পও ছিল না। যেটা করেছি আমরা চিন্তাভাবনা করেই করেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর