মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউপিডিএফের অবরোধ, গুলি পর্যটক গাড়িতে

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ পালিত হয়েছে। পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফের গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে এ অবরোধ পালিত হয়। অবরোধ চলাকালে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হননি। তবে একই স্থানে সে সময় পর্যটকবাহী একটি মাহেন্দ্র, একটি পিকআপ এবং একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। একইভাবে হাতির কবর এলাকায় পৌরসভার ময়লার গাড়ি ও উপজেলা কার্যালয়ের সামনেও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুুর করা হয়।

দীঘিনালা থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে কেউ হতাহত হননি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পর্যটকসহ গাড়িগুলো উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যায়। পরে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রহরায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। অবরোধ চলাকালে জেলা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। এদিকে অবরোধের ফলে আন্তজেলা ও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। শহরের ভিতরে স্বল্পসংখ্যক ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও শহরতলিতে সড়কগুলো ছিল যানবাহন শূন্য। অবরোধের সমর্থনে ভোরে জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস, স্বনির্ভর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইউপিডিএফ সমর্থকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পিকেটিং করে। পিকেটাররা জেলার মানিকছড়ি ও দীঘিনালাসহ কয়েকটি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করে। উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর রাতে জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপিডিএফের চার নেতা-কর্মী নিহত হন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর