এবার ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর পর ঢাকায় রেফার্ড করা হলো। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভুল চিকিৎসায় ফারজানা আক্তারের (৪০) মৃত্যু হয়। ওই নারীর স্বামীর নাম রুহুল আমীন। তাদের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। মৃত নারীর স্বজনরা জানান, ভোর সাড়ে ৫টায় ওই গৃহবধূর বুকে ব্যথা উঠলে তারা তাকে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার ডাক্তাররা হার্ট ফেল করেছেন জানিয়ে তাৎক্ষণিক দুটি ইনজেকশন দেন। অবস্থার আরও অবনতি হলে রোগীকে আইসিইউতে নিয়ে আরও ১০টি ইনজেকশন দেওয়া হয়। যখন বুঝতে পারেন রোগীর মৃত্যু হয়েছে তখন তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বজনরা দেখতে পান রোগী শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছেন না। তখন তারা বুঝতে পারেন তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে এ মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে ওই গৃহবধূর ভাশুরের ছেলে গণমাধ্যমকর্মী রাশেদুল কবির অনু খান বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কী কী ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল? তারা কোনো উত্তর দেয়নি। এরা এর আগেও অনেকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে হাসপাতালটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভুল চিকিৎসায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে তা ভুল কথা। কার্ডিয়াক সমস্যা নিয়ে রোগী গতকাল ভোরে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান তিনি। তাকে বাঁচাতে আমরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি করিনি। রাগের বশবর্তী হয়ে হয়তো রোগীর স্বজনরা এখন এ অভিযোগ তুলছেন।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মৃত নারীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্যে। কিন্তু তারা ময়নাতদন্ত করবেন না বলে লাশ নিয়ে গেছেন।’