শিরোনাম
রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জে ১৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

দলের সতীর্থদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে তারা

রফিকুল ইসলাম রনি

চ্যালেঞ্জে ১৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

মন্ত্রিসভার এক নম্বর সদস্য মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। এবারও নৌকার মনোনয়ন নিয়ে গাজীপুর-১ আসন থেকে তিনি ভোটে লড়ছেন। গোপালগঞ্জের পর গাজীপুরকে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি বলা হলেও নৌকা নিয়ে স্বস্তিতে নেই এ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী। বিএনপি বিহীন এই নির্বাচনে তাঁকে টেনশনে রেখেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। বিএনপি বিহীন এ ভোটে প্রভাবশালী এ মন্ত্রীকে চোখ রাঙাচ্ছেন নিজ দলের নেতাই। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে বর্তমান মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নৌকা নিয়ে এবারও তিনি ভোট করছেন চাঁদপুর-৩ আসনে। দলে প্রভাবশালী হলেও নিজ এলাকায় তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি শামছুল হক ভুইয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এ আসনে। নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন মৎস্যজীবী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও ব্যবসায়ী রেদওয়ান খান বোরহান। এখানে তিন প্রার্থীর মধ্যেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। দলের সতীর্থদের মোকাবিলা করেই জিতে আসতে হবে ডা. দীপু মনিকে। জেলা আওয়ামী লীগের বড় অংশই দীপু মনির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

কেবল আ ক ম মোজাম্মেল হক ও ডা. দীপু মনিই নয়, ১৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে নিজ দলের সতীর্থদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আগের দুই নির্বাচনে দলের ভিতর থেকে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হবে না- দলীয় এমন সিদ্ধান্তে নৌকার বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন হেভিওয়েট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। স্থানীয়দের ভাষ্য, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলে এসব আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বড় চ্যালেঞ্জে পড়বেন। কারো কারো ভরাডুবি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁ-১ আসন থেকে নৌকা নিয়ে এবারও ভোট করছেন। নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে তার ঘুম হারাম। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোটে লড়ছেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চন্দননগর ইউনিয়নের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান তোতা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এ আসনে। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঞা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছেন। এখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুইভাবে বিভক্ত। নৌকা বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট জমে উঠেছে। অন্যদিকে এখানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারও প্রার্থী। ফলে এখানে প্রতিদ্বন্ধিতামুখর হবে নির্বাচন। লালমনিরহাট-২ আসনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী সিরাজুল হক। মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে এলাকায় আলোচনা আছে। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও আছেন। ফলে ত্রিমুখী লড়াই করেই জিতে আসতে হবে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে। নরসিংদী-৪ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। শিল্পমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম খান বীরু। মৎস্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। সেখানে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এম এ আবদুল আউয়াল। এ প্রসঙ্গে শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমি আশা করি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হবে। প্রার্থীদের মধ্য থেকে জনগণই তাঁদের উত্তম প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করবেন। গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। প্রতীক বরাদ্দের পর রেজাউল করিম ও আলিম উদ্দিনকে নিয়ে একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পুরানো বিরোধ থাকায় ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন তাঁরা। নাটোর-৩ আসনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক। শফিক সদ্য পদত্যাগী সিংড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এখানে চ্যালেঞ্জ চালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে পলককে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে টানা চতুর্থবারের মতো রাজশাহী-৬ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু নৌকা প্রতীকেও স্বস্তিতে নেই তিনি। কারণ, কাঁচি প্রতীকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপি রায়হানুল হক। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভক্তির কারণে এই আসনে শাহরিয়ার আলমের জিতে আসাটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নেত্রকোনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। তাঁর সঙ্গে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী ফুটবলার আরিফ খান জয়। এ আসনেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। মেহেরপুর-১ আসনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুবারের এমপি আব্দুল মান্নান। ফলে নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। শুরু হয়েছে উভয়ে মধ্যে বাগ্?যুদ্ধ। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ফরহাদ হোসেন। জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে ‘রাজনীতির শিশু’ বলে মন্তব্য করেন আব্দুল মান্নান। ভোটের লড়াইয়ের সঙ্গে কথার প্রতিযোগিতাও জমে উঠেছে। যশোর-৫ আসনে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে ছাড় দিতে নারাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী। এখানে আওয়ামী লীগ বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট জমে উঠেছে। ঢাকা-১৯ আসনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাবেক এমপি তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ), আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মাঠে। ফলে ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা নেতাকর্মীদের। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সঙ্গে  স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। জামালপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক ও সাজাহান আলী মন্ডল। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার নৌকা নিয়ে লড়ছেন বাগেরহাট-৩ আসনে। নৌকা পেলেও স্বস্তিতে নেই তিনি। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। স্থানীয়দের ভাষ্য, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলে এসব আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বড় চ্যালেঞ্জে পড়বেন। কারো কারো ভরাডুবি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁ-১ আসন থেকে নৌকা নিয়ে এবারও ভোট করছেন। নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে তার ঘুম হারাম। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোটে লড়ছেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চন্দননগর ইউনিয়নের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান তোতা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এ আসনে। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঞা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছেন। এখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুইভাবে বিভক্ত। নৌকা বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট জমে উঠেছে। অন্যদিকে এখানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারও প্রার্থী। ফলে এখানে প্রতিদ্বন্ধিতামুখর হবে নির্বাচন। লালমনিরহাট-২ আসনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী সিরাজুল হক। মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে এলাকায় আলোচনা আছে। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও আছেন। ফলে ত্রিমুখী লড়াই করেই জিতে আসতে হবে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে। নরসিংদী-৪ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। শিল্পমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম খান বীরু। মৎস্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। সেখানে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এম এ আবদুল আউয়াল। এ প্রসঙ্গে শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমি আশা করি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হবে। প্রার্থীদের মধ্য থেকে জনগণই তাঁদের উত্তম প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করবেন। গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। প্রতীক বরাদ্দের পর রেজাউল করিম ও আলিম উদ্দিনকে নিয়ে একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পুরানো বিরোধ থাকায় ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন তাঁরা। নাটোর-৩ আসনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক। শফিক সদ্য পদত্যাগী সিংড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এখানে চ্যালেঞ্জ চালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে পলককে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে টানা চতুর্থবারের মতো রাজশাহী-৬ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু নৌকা প্রতীকেও স্বস্তিতে নেই তিনি। কারণ, কাঁচি প্রতীকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপি রায়হানুল হক। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভক্তির কারণে এই আসনে শাহরিয়ার আলমের জিতে আসাটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নেত্রকোনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। তাঁর সঙ্গে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী ফুটবলার আরিফ খান জয়। এ আসনেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। মেহেরপুর-১ আসনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুবারের এমপি আব্দুল মান্নান। ফলে নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। শুরু হয়েছে উভয়ে মধ্যে বাগ্?যুদ্ধ। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ফরহাদ হোসেন। জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে ‘রাজনীতির শিশু’ বলে মন্তব্য করেন আব্দুল মান্নান। ভোটের লড়াইয়ের সঙ্গে কথার প্রতিযোগিতাও জমে উঠেছে। যশোর-৫ আসনে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে ছাড় দিতে নারাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী। এখানে আওয়ামী লীগ বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট জমে উঠেছে।  ঢাকা-১৯ আসনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাবেক এমপি তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ), আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মাঠে। ফলে ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা নেতাকর্মীদের। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সঙ্গে  স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। জামালপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক ও সাজাহান আলী মন্ডল।  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার নৌকা নিয়ে লড়ছেন বাগেরহাট-৩ আসনে। নৌকা পেলেও স্বস্তিতে নেই তিনি। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার।

সর্বশেষ খবর