শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে সর্বোচ্চ এইডস রোগী শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সর্বোচ্চ এইডস রোগী শনাক্ত

দেশে রেকর্ডসংখ্যক এইডসে আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে এ বছর। এ বছর ১ হাজার ২৭৬ এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ২৬৬ জন। আক্রান্তের মধ্যে ১ হাজার ১১৮ জন বাংলাদেশি। বাকিরা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা।

গতকাল মহাখালীতে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে এ বছরের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

গত বছর সারা দেশে ৯৪৭ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২৩২ জন মারা যায়। ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৮৪ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৬ জনের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ধারণা, বাংলাদেশে এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী মানুষের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরে আক্রান্ত বাংলাদেশির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৪২ জন ঢাকায়। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২৪৬, রাজশাহীতে ১৭৫, খুলনায় ১৪১, বরিশালে ৭৯, সিলেটে ৬১, ময়মনসিংহে ৪০ ও রংপুর বিভাগে ৩৪ জন শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৮৫০ জন পুরুষ, ২৭৮ জন নারী। নয়জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছে।

ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক রোগ নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও এইডস নিয়ন্ত্রণে থমকে আছে। সরকার এইডসের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধসহ সব ধরনের সেবা দিচ্ছে। আমাদের এখানে অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসায় রি-ইউজেবল অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। ওই জিনিসগুলো জীবাণুমুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নইলে দেখা যাবে একজন নির্দোষ ব্যক্তি যিনি একটি কলোনস্কপি, এন্ডোস্কপি বা যে কোনো একটি পরীক্ষা করাতে এসে আক্রান্ত হয়ে গেলেন।’ রোগটি বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘মানুষ এখন এক জায়গায় অবস্থান করছে না। সারা বিশ্বের সঙ্গে অবাধ যাতায়াত করছে। ফলে সংক্রামক রোগও দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছড়িয়ে যায়।’ এইডস আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। এ ছাড়া পুরুষ সমকামীদের মধ্যেও এ রোগ ছড়াচ্ছে। এ বছর যারা আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ। ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, ‘নারী যৌনকর্মীদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে কম। পুরুষ যৌনকর্মী ও পুরুষ সমকামীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যারা ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণ করে।’

সর্বশেষ খবর