শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
কেন এই ফল বিপর্যয়

কালো টাকা আর প্রশাসনিক চাপ

মোশারফ হোসেন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

কালো টাকা আর প্রশাসনিক চাপ

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে পরাজিত হয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) সহসভাপতি ও জোটের প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে তার এমন বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কালো টাকা আর প্রশাসনিক চাপে আমি হেরেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের (নৌকার পক্ষের) কোনো কথাই শোনেনি। তারা অন্যদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আমাদের কর্মীদের চাপে রেখেছে বেশি। টাকায় ভোট কেনা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচন করায় বিজয় অর্জন সম্ভব হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (ঈগল প্রতীক) এর পক্ষে চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ভোটের মাঠে কাজ করে মাঠ দখলের ঘটনাও ছিল অন্যতম। নৌকার কর্মীদের ওপর চাপ প্রয়োগসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন নেতারা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে জাল ভোট, টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছে কোনো প্রতিকার পাইনি। দেশে একটা নির্বাচন হওয়ার দরকার ছিল, তা হয়ে গেল। এখন আর সার্বিক পরিস্থিতি বলে লাভ কী। তবে নির্বাচনে আমি হেরে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।মোশারফ বলেন, নির্বাচনে হেরেও রামগতি-কমলনগরের মানুষের আন্তরিকতার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এত চাপ আর কালো টাকার মুখেও রামগতি ও কমলনগরের জনগণ আমাকে ভালোবেসে নৌকা প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট দিয়েছেন। তাদের কাছে আমি ঋণী। ভবিষ্যতে এই এলাকার জনগণের সুখে-দুঃখে আমি তাদের পাশে থাকব। প্রসঙ্গত, এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর