নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের পর পূর্ব-পশ্চিম সব দেশই আমাদের সঙ্গে কাজ করতে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। তাই আমরা পূর্ব-পশ্চিমকে একসঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের পর ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ভালো একটি নির্বাচন হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৫২ বছরে দেশের যে অর্জন, তাতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা ছিল। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের উদ্বেগগুলোকেও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে গভীর চাপ, মধ্যম চাপ, বহু ধরনের চাপ ছিল। সব চাপ উতরে নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন কোনো চাপ অনুভব করছি না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদেরকে নিয়ে সব দেশেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে পর্যবেক্ষণ থাকবে, আমরা সেগুলোরও মূল্য দেই। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক কূটনীতিতে গুরুত্ব দিতে চাই। শুধু পশ্চিমা নয়, পূর্বদিক, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলেও বাজার সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের দেশ এখন রেমিট্যান্স আয়ের ক্ষেত্রে পৃথিবীর যে সব দেশ উচ্চ আয় করে তাদের মধ্যে একটি এবং যারা বেশি জনশক্তি রপ্তানি করে সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি। আমরা দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিতে নজর দেব। প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলগুলোকে অবারিত এবং সহজলভ্য করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিছু কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং আশা করি অন্যান্য রাষ্ট্রের সহযোগিতায় এই সমস্যা সহসাই সমাধান হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল প্রথম দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ে এলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।