শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাখিশূন্য জাবিতে বর্ণিল পাখিমেলা অনুষ্ঠিত

রুবেল হোসাইন, জাবি

পাখিশূন্য জাবিতে বর্ণিল পাখিমেলা অনুষ্ঠিত

প্রতিবছর শীতে সাইবেরিয়া থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। যা এখন কেবলই অতীতে পরিণত হয়েছে। এ বছর এখানে অতিথি পাখির আগমন গত বছরগুলোর চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কমেছে। সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি জলাশয়ের মধ্যে শুধু সংরক্ষিত ডব্লিউআরচির পুকুরে ৫ শতাধিক অতিথি পাখি আছে। তবে গত নভেম্বর মাসে পুরনো প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম পাশের লেকেও ২ শতাধিক পাখি দেখা গেছে। যেগুলো কয়েকদিন পরই আবার ফিরে গেছে। এরপর জাবিতে নতুন করে আর কোনো অতিথি পাখি আসেনি। এদিকে অতিথি পাখিশূন্য ক্যাম্পাসে পাখির প্রয়োজনীয়তা এবং সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গতকাল দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। সকাল সাড়ে ৯টায় জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।  মেলায় বিগ বার্ড প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সম্মাননা, গণমাধ্যমে পাখি বিষয়ক সেরা প্রতিবেদন এবং পাখি বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন পুরস্কার দেওয়া হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলায় ছোটদের পাখি বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ, বই- পোস্টার প্রদর্শনী, পাখি দেখা, পাখি চেনার প্রতিযোগিতা এবং পাখি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা যায়, ১৯৮৬ সালে প্রথম জাবিতে অতিথি বা পরিযায়ী পাখি আসে। তখন ৪ হাজারের মতো পাখির দেখা মেলে। গত বছর এ সময়ে দেশি-বিদেশি প্রায় আড়াই হাজার পরিযায়ী পাখি আসে। এর আগে ২০২১ সালে ৪ হাজার ৫০০টি পাখির আগমন ঘটে। এযাবৎকালে সবচেয়ে বেশি অতিথি পাখি আসে ২০২০ সালে করোনার সময়। সে বছর ৮ হাজারের বেশি অতিথি পাখি এসেছিল। ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আসা মোট পাখির সংখ্যা যথাক্রমে ৬৭৮০, ৪৭৩১, ৪৯৭৫, ৪৭০৯টি ছিল বলে জানিয়েছে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। দর্শনার্থীর উৎপাত, লেকের পাড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান না করা, যানবাহন পার্কিং করা, জলাশয়ের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার না করায় পাখির আগমন কমেছে বলে জানিয়েছেন পাখিবিশেষজ্ঞরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর