রবিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

৯০ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় সাঁকো বেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

৯০ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় সাঁকো বেয়ে

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা-বরাকোঠা সড়কের একটি আরসিসি সেতুর নির্মাণ কাজ আড়াই বছরেও শেষ হয়নি। ঠিকাদার সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ করলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে সুপারি গাছের তৈরি সাঁকো দিয়ে সেতু পার হতে হয় তাদের। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ সম্পন্ন না করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল অফিস। জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উজিরপুরের বরাকোঠা ইউনিয়নের ধামুরা-বরাকোটা সড়কের শেরেবাংলা বাজার সংলগ্ন হাকিম ডাক্তারের বাড়ির সামনে একটি আরসিসি সেতু এবং উভয় পাশে ৫০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৭ টাকা প্রাক্কলনে ২০২১ সালের জুলাই মাসে দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মেসার্স মৌ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় নির্ধারিত ছিল।

দুই বছর আগে সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করে কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদার। ধামুরা, বরাকোঠা ও উত্তর বরাকোঠা গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য এই সেতুটি ব্যবহৃত হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বাধ্য হয়ে তারা সুপারি গাছের তৈরি সাঁকো দিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন।

ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, সেতু নির্মাণের সময় বিকল্প সড়ক (ডাইভারশন রোড) নির্মাণ না করায় শুরু থেকেই দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এখন সেতু নির্মিত হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সাঁকো বেয়ে সেতুতে উঠতে হয় তাদের। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ওই সেতু পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছেন। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানান।

উজিরপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী সুব্রত রায় জানান, সেতু এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজটি তিন মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ঠিকাদার আড়াই বছরেও সেটি শেষ করেনি। এ বিষয়ে তাকে বারবার তাগাদা দেওয়া কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জবাব পাওয়া গেলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।

সর্বশেষ খবর