বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসব

এম এ আউয়াল

নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসব

ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেছেন, তার নেতৃত্বাধীন প্রগতিশীল ইসলামী জোটের লক্ষ্য পরিষ্কার, তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতি করছেন। ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে তাদের নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। অচিরেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে সামনে আসবেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এম আউয়াল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও সংবিধান রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনের পর অংশীজনেরা যেভাবে মূল্যায়ন করেছে, তাতে নির্বাচনের ভিতরের কিছু বিষয় সামনে এসেছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন। বিগত সময়েও আমরা এ রকম দেখেছি, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি ও প্রগতিশীল ইসলামী জোটের প্রার্থীরা ‘তৃণমূল বিএনপির’ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। কোনো প্রার্থী বিজয়ী হননি। নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো সুবিধা করতে পারল না কেন- জানতে চাইলে এম এ আউয়াল বলেন, ইসলামী দলগুলো সুবিধা করতে পারেনি, পুরোপুরি কথাটির সঙ্গে একমত নই। মূল বিষয় দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বাস্তবতা কতটুকু। সেই রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা হয়তো আরও স্পষ্ট করতে পারবেন। নতুন করে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে এম এ আউয়াল বলেন, সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা, অর্থনীতি স্ট্যাবিলিটি দেওয়া, নিত্যপণ্যসহ সব পণ্যের মূল্য কমানোর ওপর জোর দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বৈশ্বিক শক্তির বিবেচনায় ঢাকাকে অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে দেশের যাত্রা উন্নতি, মানবিকতার উন্নয়ন ও সুশাসনের মহাযাত্রায় প্রবেশ করেছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি আবারও একই সময়ে রাজপথে নামলে দেশের পরিস্থিতি কী হবে জানতে চাইলে এম এ আউয়াল বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বা যে কোনো রাজনৈতিক দল রাজপথে কর্মসূচি দিতে পারে, এটি খুব স্বাভাবিক ঘটনা। বরং না নামাটাই অস্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক আচার অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা রাখি। এম এ আউয়াল বলেন, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে সরকারকে অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার ফলাফল কারও জন্য ভালো হবে না।

 

সর্বশেষ খবর