মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মৃতি স্মরণে আগামীকাল শুরু হচ্ছে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’। মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বিকাল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কয়েকটি নতুন বইয়ের গ্রন্থ উন্মোচন এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করবেন। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপান মুক্ত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর বিকাল ৫টায় সর্বসাধারণের জন্য মেলার প্রবেশদ্বারগুলো খুলে দেওয়া হবে। বরাবরের মতো এবারও মেলা হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪ ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫ প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন থাকবে। এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রেখে কিছুটা আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে মেলার বাইর-পথ একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি করা হয়েছে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অংশে মোট আটটি প্রবেশ ও বাইর পথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ ভাগ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনা বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে।