বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৮

চবি প্রতিনিধি

মেসে মেয়ে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী সড়কে এ সংঘর্ষ হয়। এতে আট কর্মী আহত হন। রাত ২টার দিকে পুলিশ দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ভিএক্স উপগ্রুপ নেতা-কর্মীরা নিজেদের নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের এবং সিএফসি পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচয় দেন। দুই গ্রুপের একাধিক কর্মী থেকে জানা গেছে, মারধরকারী সিএফসি কর্মীদের মধ্যে একজন স্বাগত দাশ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি চবির ২ নম্বর গেটে একটি মেসে থাকেন। গতকাল সেখানে তার এক মেয়েবন্ধুকে নিয়ে যান। ছেলেদের মেসে মেয়েবন্ধু নিয়ে যাওয়ায় অন্যরা এর প্রতিবাদ করেন। এতে একই মেসে থাকা একই ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ভিএক্সের কর্মী আলমাস মাহফুজের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়। পরে স্বাগত দাশ তার সিএফসি গ্রুপের বড় ভাই মাহমুদুজ্জামান ওমরসহ অন্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এসে আলমাসকে বেধড়ক মারধর করে চলে যান। ভিএক্স সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এবং সিএফসির নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ ঘটে। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতে দেশি অস্ত্রও দেখা যায়। ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দুই বন্ধুর ভুল বোঝাবুঝি থেকে জুনিয়রদের মধ্যে ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছে।’ চবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, ‘তেমন বড় কিছু হয়নি। জুনিয়রদের মধ্যে ছোটখাটো একটা বিষয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমরা সিনিয়ররা বসে মিটমাট করে দিয়েছি।’ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে আটজন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হওয়ার আগেই আমরা প্রক্টোরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া বলেন, ‘ছাত্রদের দুই পক্ষে ঝামেলা হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকেই হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি রাত ২টার দিকে।’

সর্বশেষ খবর